মানবতাবিরোধী মামলার আসামি আবদুর রহমানের মৃত্যু
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:১০
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিচারাধীন আসামি আবদুর রহমান (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কারারক্ষী মো. হানিফ জানান, বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
এর আগে, ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা থেকে আবদুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
মামলার প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী জানান, আবদুর রহমান ছাড়াও এ মামলার ছয়জন আসামি রয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার জেরা এবং সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। মামলাটি এখন যুক্তি-তর্ক পর্যায়ে রয়েছে।
গত বছরের ২২ মে ছয়জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। এর আগে ১৬ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা।
আসামিরা হলেন- শেখ মো. আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মওলানা (৬৬), মো. আব্দুল খালেক তালুকদার (৬৭), মো. কবির খান (৭০), আবদুর রহমান (৭০), আব্দুস সালাম বেগ (৬৮) ও নুরউদ্দিন ওরফে রদ্দিন (৭০)।
এ মামলার মোট সাতজন আসামির অপরজন আহাম্মদ আলী (৭৮) গ্রেফতারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ছয় আসামির মধ্যে গত বছরের ১২ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন আব্দুর রহমান। বাকি পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আটজন নিরীহ মানুষকে অপহরণের পর হত্যা, তিনটি বাড়ির মালামাল লুট, আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগ।
গত বছরের ১২ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পূর্বধলার জারিয়া ইউনিয়নের গণকপাড়া গ্রামের মৃত মওলানা হোসেন আহম্মদ ওরফে হোসেন মওলানা ছেলে আব্দুর রহমান ও ঘাগড়া ইউনিয়নের সুনাইকান্দা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আহাম্মদ আলীকে যার যার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। ১৩ আগস্ট তাদেরকে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট দুপুর একটায় রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যার পর কংস নদীর পানিতে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় ২০১৩ সালে। শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এসএসআর/এটি/এএস