আইসিটি থেকে আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:৪৫
।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২১ সাল নাগাদ আইসিটি খাতের রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলারে ছাড়াবে।
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইসিটি খাতে ট্যাক্স মুক্ত করেছি। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যারা হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার খাতে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দিচ্ছে, যা কোনো দেশ দেয় না। এর ফলে বাংলাদেশে স্যামসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো প্ল্যান্ট স্থাপন করছে।
বাংলাদেশের মোট জনগণের একটি বড় অংশ তরুণ। তাদের যথোপোযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন হতে পারে বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আশংকা প্রকাশ করেন, গার্মেন্টস খাতের শ্রমশক্তি তথ্যপ্রযুক্তি দখল করে নিতে পারে। তখন দেশের গার্মেন্টস খাত বিদেশিদের হাতে চলে যেতে পারে। তবে, তথ্য প্রযুক্তি খাতে এই দক্ষ মানব সম্পদকে কাজে লাগালে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
দেশের সবচেয়ে বড় আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের এটি ছিল দ্বিতীয় আসর। এ বছর ৩৫ ক্যাটাগরিতে মোট ৭৬টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ৩২টি প্রোজেক্ট চায়নায় আইসিটির অস্কার খ্যাত অ্যাপিকপ্টা অ্যাওয়ার্ডে যাচ্ছে যেখানে তারা আরও ১৬টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেন, বেসিসের উদ্যোগে ২য় বারের মতো বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হলো। আমি এটা জানতে পেরে গর্বিত যে বাংলাদেশ থেকে এ বছর সবচেয়ে বড় ফল চীনের অ্যাপিকপ্টা অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নিতে যাচ্ছে।
বেসিসের সভাপতি এবং বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, দেশে যে সব তথ্য প্রযুক্তির কাজ হচ্ছে সেগুলোর স্বীকৃতি দেয়া বেসিস আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের উদ্দেশ্য। আমরা বিশ্বাস করি এই প্রজেক্টগুলোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। এখানে অন্ধ মানুষের দৃষ্টিশক্তি পাওয়ার মতো প্রজেক্ট এসেছে। আরও এমন অনেক প্রোজেক্ট এসেছে তা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা ছাড়া আসা সম্ভব না।
সাড়ে ছয়শ’টার বেশি অ্যাপলিকেশন পড়েছিল এই প্রতিযোগিতার জন্য। যেখানে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ছিল। আমরা আশা করি সবাই মিলে কাজ করলে মিলিত শক্তি দেশে একটা পরিবর্তন করতে পারবে, বলেও বলেন তিনি।
বেসিস সভাপতি আলমাস কবীর বলেন, দ্বিতীয় বছরে এসে আমরা যা সারা পেয়েছি তা অভূতপূর্ব। তিনি আরও বলেন, যারা নবীন প্রতিযোগী তাদের প্রোজেক্টকে বেসিসের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
আলমাস কবীর আরও বলেন, আমাদের ২০৩১ বা ২০৪১ এ এই খাত থেকে দেশ কত আয় করবে সে বিষয়ে এখনই লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলোর সঙ্গে পাঠ্যক্রম ঠিক করতে হবে এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে যেন আমরা একটা দক্ষ জনশক্তির দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হতে পারি।
সারাবাংলা/এমএ