হবিগঞ্জে সিএনজি চালককে মারধরের পর সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:১৫
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় সিএনজি চালককে মারধরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের শতাধিক আহত।
গত বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বানিয়াচং কাগাপাশা থেকে নবীগঞ্জ শহরের ফেরার পথে কানাইপুর শ্মশানঘাট এলাকায় পৌঁছানোর পর চরগাঁও সিএনজি স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক কাওছার মিয়াকে (রাজাবাদ) থানা পয়েন্টের সিএনজি স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক শিশু মিয়াসহ কয়েকজন মিলে মারধর করে।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েকজন সেখানে গেলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় মাছ বাজার, পোলট্রি ফার্ম ও দোকানপাটসহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক লোকজন আহত হয়। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত অবস্থায় ছয় জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে মিস ফায়ারে (অসাবধানতামূলক) কারণে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্য খায়রুল ইসলাম (২২) আহত হন। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফুসহ স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে পুলিশ কর্মকর্তাসহ উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ ভাংচুরকৃত মাছবাজার ও দোকানপাট পরিদর্শন করেন।
সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুরে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, সংঘর্ষ এড়াতে পুরো শহর এবং গুরুত্বপূর্ণস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আতংকে বন্ধ রয়েছে নবীগঞ্জ শহরের অধিকাংশ দোকান পাট।
সারাবাংলা/এমআই