Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচনের আগেই পৌঁছে যাবে বিনামূল্যের বই


৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:৪৫

।। মেসবাহ শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগেই সারাদেশের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া হবে। ২০১৯ শিক্ষা বর্ষের এসব বই যেন কোনো ধরনের ঝুঁকিতে না পড়ে, সেজন্য বেশ দ্রুততার সঙ্গে মুদ্রণ কাজ এগিয়ে চলেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরই মধ্যে জেলা পর্যায়ে প্রায় ১০ ভাগ বই পৌঁছেও গেছে। অক্টোবর মাসের মধ্যেই ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ বই পৌঁছে যাবে বিভিন্ন জেলায়। বাকি বই নভেম্বরের মধ্যে ১০ তারিখের মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, ২০১৯ শিক্ষা বর্ষে মোট ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার কপি বিনামূল্যের বই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে সাড়ে ১০ কোটি কপি প্রাথমিক, ২ কোটি ৭৬ লাখ কপি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং বাকিগুলো মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, এবার ছোট চারশ প্রেস পাঠ্যপুস্তকসহ বই ছাপার সঙ্গে যুক্ত। এর বাইরে ৬৮টি বড় প্রেস রয়েছে। নির্বাচনের সময় বেশি লাভের আশায় সব প্রেস বই ছাপানোর চেয়ে পোস্টার ছাপানোর কাজেই আগ্রহী ও ব্যস্ত থাকবে। এদিকে, অন্যান্য বছরে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বই জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এসব সমস্যা মাথায় রেখেই এ বছর ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বিনামূল্যের বই পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের বই ছাপার কার্যাদেশ দিতে পারেনি এনসিটিবি। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ১২৪ দিন সময় পান প্রেস মালিকরা। এ সময়ের মধ্যেই প্রেসগুলো বই মুদ্রণ ও তা এনসিটিবির কাছে হস্তান্তর করে থাকে। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপার কাজের টেন্ডার আহ্বান করে এনসিটিবি। টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর পরই কাগজের মূল্য বেড়ে যায়। ফলে ওই মূল্যে কাজ করতে রাজি হয়নি প্রেস মালিকরা। এ কারণে দাম বাড়িয়ে ফের টেন্ডার আহ্বান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর ডেমরা এলাকায় কয়েকটি প্রেস ঘুরে দেখা গেছে, বই মুদ্রণের পুরোদমে কাজ চলছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার কোনো প্রেসকেই সক্ষমতার অতিরিক্ত বইয়ের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে মুদ্রণের কাজ। যেগুলো প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে, এবার আন্তর্জাতিক বাজারে কাগজের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রণ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দরে মিলছে না। প্রতিটি লটেই অতিরিক্ত টাকা চাচ্ছেন প্রেস মালিকরা। তবে সরকারি কোষাগার থেকে বরাদ্দের বাইরে এবার বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিতরণ শাখার নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. জিয়াউল হক।

সারাবাংলাকে তিনি জানান, ২০১৯ সালের বইয়ের জন্য মোট ১ হাজার ২২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর বাইরে সুখপাঠ্য প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ সাশ্রয় হওয়ায় সেগুলো এ খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। ফলে মোট বাজেটের যায়গায় কোনো হেরফের হচ্ছে না।

তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমিক স্তরের বই ছাপার এটিপিপি (বার্ষিক সমায়াবদ্ধ পরিকল্পনা) অনুমোদন দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী টেন্ডারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ঠিকাদারদের সঙ্গে ৬ জুন চুক্তি করে। দর নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের নতুন দরপত্র খোলা হয় ২০ জুন, আর প্রাথমিকে ২১ জুন।

এ ছাড়া ৮ সেপ্টেম্বর সব শেষ লটের টেন্ডার আহ্বানের মধ্য দিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের বইয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে। টেন্ডারে যারা কাজ পাবেন, তারা ৮৪ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করবেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, অক্টোবরের মধ্যে বই পৌঁছে যাবে। কিছু বই পৌঁছাতে নভেম্বর পর্যন্ত যেতে পারে। ৮ সেপ্টেম্বর সবশেষ ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বই মুদ্রণ ও তা প্রতিষ্ঠানগুলোয় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়ার অবকাশ নেই।

সারাবাংলা/এমএস/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর