সংবিধান উপেক্ষা করে খালেদাকে কারাগারে পাঠিয়েছে: মোশাররফ
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার আইনি বিধান, সংবিধান উপেক্ষা করে হিংসা বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসাবশত খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বিএনপি আগামী নির্বাচনে যেন অংশ গ্রহণ না করতে পারে সেই বিষয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছেন। বর্তমানে দেশের তৃর্ণমূল পর্যায়ে সকল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্স লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ফোরামের উদ্যোগে ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অবসান এবং গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে তিনি বলেন, কারাগারে অবস্থানকালে খালেদা জিয়ার জরুরি চিকিৎসা তো দূরের কথা স্বাভাবিক চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে না। গত কয়েকদিন আগে দেখা করতে গিয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা বলেন, খালেদা জিয়া ঠিকমতো দাঁড়াতে পাড়ছেন না, হাত-পায়ের ব্যথা বাড়ছে। ভাল কোনো চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
গত বুধবার কারাগারে অস্থায়ী আদালতে উপস্থিত করা হলে খালেদা জিয়া নিজ মুখে বলেছেন, তিনি অনেক অসুস্থ, বার বার আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না, যা সাজা দেওয়ার দেন।
খালেদা জিয়ার উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন জানিয়ে বলেন, কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরে (সিআরপিসি) বলা আছে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে আদালতে বিচার করা যাবে না। এর পরের খালেদাকে অসুস্থ অবস্থায় আদালতে উপস্থিত করে সরকার বিচারকাজ পরিচলনা করছেন এটা একটি ষড়যন্ত্র। একটি মামলায় জামিন পেয়েও ছাড়া পাইনি। উচ্ছ আদালতে জামিন পেলেও ৭ মাস ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। আরেকটি মানলায় আটক রাখার পাইতারা করছে।
বর্তমান সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ ভোটারবিহীন সরকার চায় না। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মতে আরেকটি নির্বাচন করতে দেবে না। জনগণ এই দেশে ১/১১ ও বাকশালী সরকার সৃষ্টি করতে দিবে না।
তাফসির ঘোষণা করার আগে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তাফসির ঘোষণার আগে সাংসদ ভেঙে দিতে হবে।
বর্তমানের নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই এই নির্বাচন কমিশনকে মেরামত করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে সামরিক বাহিনীকে নিয়োগ করতে হবে।
ওবায়দুল কাদেরে কথার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আ.লীগের আবার জাতীয় ঐক্য কি? এটা একটি হাস্যকর কথা। জনগণের আ.লীগের পক্ষের ঐক্যবদ্ধ নেই তার বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কারাগারের ভিতরে আদালত করলে সংবিধানের আইনের কোনো লঙ্ঘন হয় না। কিন্তু সংবিধানের ৩৫(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে সকল বিচার প্রকাশ্যে করতে হবে এবং সিআরপিসি ৫২ ধারায়ও প্রকাশ্যে বিচার পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। এটি সংবিধানের বিরুদ্ধে হয়েছে। বিচারের সময় কারাগারের গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ তো দুরের কথা আইনজীবীরা ঢুকতে পারছেন না। তাহলে কিভাবে প্রকাশ্যে বিচার করা হলো। বর্তমানের সরকার শুধু মাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশ জন্য খালেদা জিয়াক মিথ্যা মামলায় আটকিয়ে রেখেছন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সভাপতি সাঈদ আহমেদ আসলাম, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য রহমাতুল্লাহ সেলিনা আক্তারসহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এআই/এমআই