Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনবিচ্ছিন্ন লোক নিয়ে ঐক্য করে কাজ হবে না: অলি


৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:১৬

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: যুক্তফ্রন্ট নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘জনসমর্থনহীন, জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে ঐক্য করে কোনো কাজ হবে না। বিএনপিকে আরও কৌশলী হতে হবে। যাদের সমর্থক নাই, তাদের নিয়ে ঐক্য করে কোনো লাভ নেই। তার চেয়ে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করেন।’

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। কয়েকটি রাজনৈতিক দল থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এলডিপিতে যোগদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নির্বাচন সামনে রেখে ড. কামাল হোসেন ও ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি চৌধুরী) নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টসহ অন্যদের সঙ্গে ভেবেচিন্তে জাতীয় ঐক্য গড়তে বিএনপিকে পরামর্শ দেন কর্নেল (অব.) ড. আলি আহমদ বীর বিক্রম। জাতীয় ঐক্য করার ক্ষেত্রে এলডিপিসহ ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মূল্যায়ন করার পরামর্শও দেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে আরও বাস্তববাদী ও কৌশলী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অলি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারবে কি না— তা নিয়ে সংশয়ে আছে। আমরা আছি সবাই আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা নিয়ে। ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত। কাউকে ছাড় দিতে কেউ রাজি না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা রণসাজে সজ্জিত হচ্ছি। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিএনপির মত একটি বড় দলকে অবহেলা করলে চলবে না। সরকারকে নমনীয় হতে হবে।’

সব রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়া এবং মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান অলি।

এ সময় এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ বলেন, ‘পত্র পত্রিকাতে অনেক কিছু লেখা হচ্ছে আমাদের নিয়ে। আমরা জোটে আছি। বর্তমানে ৮০ ভাগ লোক সরকারের বিপক্ষে। আর যেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় হামলা, মামলার শিকার হয়েছে, সেখানে সরকারের সঙ্গে আমাদের যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু জাতীয় ঐক্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে অবশ্যই জোটের সব শরিকদের মধ্যে একটা ঐকমত্য থাকতে হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে আমাদের নানা ধরনের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। তা প্রত্যাখ্যান করে আমরা বৃহত্তর স্বার্থে জোটে আছি। জোটে আমাদের অবস্থান কীভাবে আরও সুদৃঢ় করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। সরকার গঠন করলে আমাদের দলের প্রধানের অবস্থান কী হবে— সেটা বিএনপিকে পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু কেউ একজন উড়ে এসে জুড়ে বসবেন, তা হতে দেওয়া হবে না। জোটে সেই সুযোগ নেই। আমরা তাতে একাত্মতা প্রকাশ করবো না।’

এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে রাজনীতিতে বড় ধরনের চমক আসছে উল্লেখ করে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘প্রায় ৬ বছর ধরে আমরা সব ধরনের লোভ লালসাকে উপেক্ষা করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলে আছি। কিন্তু এখানে দেখছি হঠাৎ করে কেউ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী, কেউ রাষ্ট্রপতি দাবি করে বসে আছেন। এমন নাটক চললেও বিএনপির পক্ষ থেকে জোরালো কোনো বক্তব্য পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ একশ আসন, কেউ দেড়শ আসন দাবি করছেন। কিন্তু এলডিপির মত দলের এখানে কোনো কথা থাকবে না এটা হতে পারে না। বিএনপি শরিক দল হিসেবে এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এলডিপির চেয়ারম্যানের প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে।’

সেলিম বলেন, ‘আমরা দলের সর্বোচ্চ কমিটির মিটিংয়ে যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দলীয় প্রধানকে দিয়ে রেখেছি। আশা করি আপনারা সময়মত দেখতে পারবেন।’

সারাবাংলা/এজেড/এএস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর