সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে খুন হয় কিশোর শুভ, গ্রেফতার ৮ কিশোর
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:১৩
||স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ||
ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় কিশোরদের মধ্যে আধিপত্য-বিস্তারের জন্য আরাফাত ও শান্ত নামে দু- গ্রুপের সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করায় খুন হয় কিশোর মেহেদী হাসান শুভ। গত ৩১ আগস্টের এই খুনের ঘটনায় প্রধান খুনী ও সহযোগীসহ ৮ কিশোরকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের উপ- কমিশনার মাসুদুর রহমান।
এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে – সাইফ, মনির, আরাফাত, সাইফুল, মেহেরাব, আপেল, সিফাত ও সোহেলকে। এরা প্রত্যেকেই উত্তরার দক্ষিণ খান এলাকার বাসিন্দা।
ডিএমপির উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, উত্তরার দক্ষিণখানে দুইটি কিশোর গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিল। একটি আরাফাত গ্রুপ, অন্যটি শান্ত গ্রুপ। নিহত কিশোর মেহেদী হাসান শান্ত গ্রুপের সদস্য ছিল। ওই দুই গ্রুপের নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ চলছিল। একারণে তারা একটা হত্যাকাণ্ডের পূর্ব পরিকল্পনা করে।
তিনি বলেন, মেহেদী নিহত হওয়ার ১০/১৫ দিন আগে আরাফাত গ্রুপের সদস্য কাউসার ওরফে কডা শান্ত গ্রুপের সদস্য হুন্ডা মেহেদীকে তুই বলে সম্বোধন করে। এই তুই বলাকে কেন্দ্র করে শান্ত গ্রুপের সদস্য হুন্ডা মেহেদী ও নিহত মেহেদী আরাফাত গ্রুপের অপর এক সদস্য সাইফকে মারধর করে। একারণে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ৩১ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্যের একটি পথসভার মিছিল নিয়ে আসে শান্ত গ্রুপের ভিকটিম মেহেদী, নাজমুল সহ অনেকে। সেখানে শত শত মানুষের মাঝে তাদের ওপর হামলা করে আরাফাত গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় ভিকটিম মেহেদীর বাম হাতে ও বুকের বাম পাশে সুইচ গিয়ার ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
পুলিশের উপ কমিশনার আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮ জনকে সিলেট ও দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করে ডিবি উত্তর। হত্যাকাণ্ডে যে ছুরি ব্যবহার করা হয় সেটাও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে কিশোর গ্রুপ যাতে সক্রিয় হতে না পারে সে জন্য সন্ধ্যার পর যাতে কেউ দলবদ্ধভাবে একত্রিত হতে না পারে সেজন্য মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।
ব্রিফিং শেষে ডিবি পুলিশের (উত্তর) ডিসি মশিউর সারাবাংলাকে বলেন, আসামীদের জিজ্ঞাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে আদালতে। সেই সঙ্গে এ দুই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে এলাকার দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি। যারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে তাদেরকে কাজে লাগাতো। এখন আমরা তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসএইচ/জেডএফ
আরও পড়ুন:
সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব: বন্ধুর বাসায় বেড়াতে এসে কিশোর খুন