ভালোবাসার বিয়ে মেনে নিয়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৩১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘আমরা উভয়ে প্রাপ্তবয়স্ক। ভালোবেসে বিয়ে করেছি, সংসার করতে চাই। এতে কেউ যাতে সমস্যার সৃষ্টি না করে।’ তাদের ভালোবাসা মেনে নিয়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন রিক্তা ও মামুন নামের এক দম্পতি।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই নব দম্পতি বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া আক্তার রিক্তা বলেন, আমি ও আমার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আমরা দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। দুজনে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। ২০১৭ সালের ২১ মে প্রথমবার বিয়ের পর আমার মা নাজমা বেগম জোর করে ডিভোর্স পেপারে সই নিয়ে স্বামীর নামে ভোলার শশীভুষণ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আমার স্বামী চার মাস ১৯ দিন জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হন।
রিক্তা জানান, এ বছর ৭ আগস্ট মিরপুর ১০-এ একটি কাজী অফিসে আমরা আবারও বিয়ে করি। এবারে বিপত্তি বাধায় আমার মা। আমার স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়ীকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। সেই মামলায় দেবর আব্দুল্লাহ আল মানসুরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। আমি নিজে তেজগাঁও থানার ওসিকে ফোন করে বললেও কোনো কাজ হয়নি।
‘আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমরা মিথ্যা মামলায় সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সবার কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমরা দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং এ দেশের নাগরিক। আমরা আমাদের মতো করে বাঁচতে চাই, বলেন রিক্তা।
তানিয়ার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা উভয়ই একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করি। রিক্তা আমার মামাত বোন। আমার শ্বাশুড়ি নাজমা বেগম অহংকার করে আমাদের প্রেমের বিয়ে মেনে নিচ্ছেন না। আমরা মিথ্যা মামলায় হয়রানি হতে চাই না।’
তিনি বলেন, তানিয়াকে এতোটাই ভালোবাসি যে সিঙ্গাপুর থেকে চাকরি ছেড়ে চলে এসেছি। আমরা তো কোনো দোষ করিনি। কেনো এতোটা নির্যাতন করে আমাদের। ভোলার মামলায় সিআইডি কোনো প্রমাণ না পেলেও থানা পুলিশ চার্জশিট দেয় আদালতে। ঢাকার মামলা কীভাবে নেয় থানা পুলিশ তা জানি না। মেয়ে সাবালক। তাকে কীভাবে অপহরণ করেছি। মেয়ে তো নিজেই বলছেন, সে অপহৃত হয়নি। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
রিক্তা ও মামুন দুজনের বাড়ি ভোলার শশীভুষণ উপজেলায়। পরিবার থেকে মেনে না নেওয়ায় তারা পালিয়ে বিয়ে করেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এমআই