প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক তথ্য কমাবে যৌন হয়রানি-জেন্ডার বৈষম্য
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:২০
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে সঠিক তথ্য যৌন হয়রানি ও জেন্ডার বৈষম্য কমাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেন্ডার বৈষম্য কমাতে মসজিদের ইমামদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাহলে মানুষ এই বিষয়টিকে আর গোপনীয় বা লজ্জার বলে মনে করবে না। সুস্থ্য জীবনের জন্য এ বিষয়ে জানা দরকার।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক নলেজ ফেয়ারের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার’ বিষয়ক প্লাটফরম ‘শেয়ার-নেট বাংলাদেশ’ রাজধানীর গুলশানে স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এই নলেজ ফেয়ারের আয়োজন করেছে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়েরুন স্তেইখস। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি গ্রান্ট পাবলিক থেলথ-এর অধ্যাপক সাবিনা ফাইজ রশিদ, রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর সিনিয়র জেন্ডার স্পেশালিস্ট এলা দি ভুদ, রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তীসহ অনেকে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে কথা বলা বিশেষ করে স্কুলে ও পরিবারে প্রায় নিষিদ্ধ বলা যায়। স্কুলের পাঠ্য বইয়েও সযত্নে এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। কারণ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার হলো মানবাধিকার। ২০২০-২০৩০-এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারের বিষয়টি সরাসরি যুক্ত। সমাজে ও অর্থনীতিতেও এর প্রভাব রয়েছে। তাই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধিও মাধ্যমে আমরা পরিবার-পরিকল্পনা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারবো।’
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়েরুন স্তেইখস বলেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে কথা বলা খুবই জরুরি। আর এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার কাজটা করে আসছে শেয়ার-নেট বাংলাদেশ। এই প্লাটফরমের মাধ্যমে নীতিনির্ধারক, প্রাকটিশনার, গবেষক, ডাক্তারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা এক ছাদেও নিচে এসে এ বিষয়ে কথা বলতে পারছে।’
এলা দি ভুদ বলেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে সকলের জানা দরকার। কারণ, এটি একটি সমাজকে সমতার সঙ্গে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। সঠিক জ্ঞান ও তথ্য নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমাতে সাহায্য করে। শেয়ার-নেট বাংলাদেশ এমন একটি প্লাটফর্ম যা বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের মানুষের কাছে সঠিক জ্ঞান ও তথ্য জানাতে এবং তাদের কথাগুলো বলার সুযোগ করে দিয়েছে।’
অর্ণব চক্রবর্তী জানান, এই নলেজ ফেয়ারটি ছিল এমন একটি বিশাল প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন সদস্য সংগঠনের এবং শেয়ার-নেট নেদারল্যান্ডস, বুরুন্ডি এবং জর্ডানের প্রতনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও মতবিনিময় সেশনের মাধ্যমে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল এবং তা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু বিভিন্ন নীতিনির্ধারণের প্রভাব এবং উদ্ভাবনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সারাবাংলা/এমএস/এমআই