বাম-কংগ্রেসের ডাকা হরতালে ভারতে মিশ্র প্রভাব
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৪০
।। শুভজিৎ পুততুন্ড ।।
কলকাতা থেকে: পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার ভারতে বাম-কংগ্রেসসহ বিজেপিবিরোধী ২১ দলের ডাকা ১২ ঘণ্টার হরতালে এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে মিশ্র সাড়া পাওয়া গেছে।
পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত জুড়ে হরতালের ডাক দেয় সিপিআইএম। তাদের ডাকা এই হরতালে সমর্থন জানায় কংগ্রেস, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), জনতা দলসহ (সেকুলার) ২১টি বিরোধী দল ও বণিকসভা সংগঠন।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছিল, তার দল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদকে সমর্থন জানালেও ভারত বনধ পালন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজেও হরতালের বিরোধী। মমতার নির্দেশ অনুযায়ী এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হরতাল রুখতে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত হরতালের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অতিরিক্ত ৬০০ সরকারি বাস চালিয়ে পরিসেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তবে সকাল থেকেই গণপরিবহনে যাত্রীদের সংখ্যা খুবই কম।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা ও হাওড়ায় সকাল বেলাতেই সিপিআইএমের অবোরোধে ব্যহত হয় রেলযাত্র। যাদবপুর, সোনারপুর, লক্ষীকান্তপুর, দাসনগর, ইছাপুর, শ্রীরামপুরসহ কয়েকটি রেলস্টেশনে অবরোধের ফলে রেল চলাচল ব্যহত হয়েছে।
জেলায় জেলায় বাস, ট্যাক্সি, সিএনজি অন্যদিনের তুলনায় কম চলছে, যানবাহনে যাত্রীদের উপস্থিতি কিছুটা কম। সল্টলেকে তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরেও হরতালের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে হাওড়ায়।
বিজেপিশাসিত গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, আসামসহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও এখনও পর্যন্ত হরতালের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। কংগ্রেসশাসিত কর্নাটক রাজ্যে বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, কিছু জায়গায় টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। রাজ্যটির প্রতিটি স্কুল, কলেজেই আগাম ছুটি ঘোষণা করে কর্নাটক রাজ্য সরকার।
গুজরাটের ভারুচে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায় হরতাল সমর্থনকারীরা। এসময় বেশ কিছু সময় যান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ঝাড়খন্ডে রেল লাইনের মধ্যেই টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রেল অবরোধে সামিল হয় আরজেডি’এর সমর্থকরা।
এছাড়া জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দিল্লির রাজঘাটে একটি প্রতিবাদি মিছিলে অংশ নেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাজঘাট থেকে সেই মিছিল যায় দিল্লির রামলীলা ময়দানে। ওই মিছিলে অংশ নেন অশোক গেহলট, রণদীয় সিং সুরজেওয়ালাসহ কংগ্রেসের অন্য নেতারা।
সারাবাংলা/এমও