Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আদালতে মেয়রের ‘প্রক্সি’ দিয়ে ধরা পড়লেন আত্মীয়!


১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৪৩

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মো. আনিছুর রহমানের। কিন্তু আদালতে হাজিরার ওই তারিখে তিনি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ায়। এ সময় এক আত্মীয়কে মেয়র সাজিয়ে আদালতে পাঠান তিনি। আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে কারাগারেও যেতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত জানাজানি হলে আদালত এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান খান রাজধানীর কোতয়ালি থানা এবং গাজীপুরের শ্রীপুর থানাকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর মেয়র আনিছুর ইন্দোনেশিয়া যান। দুদকের একটি মামলায় গত ৯ সেপ্টেম্বর তার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। এদিন আদালতে নূরে আলম নামে তার এক আত্মীয়কে মেয়র সেজে হাজিরা দিতে বলেন আনিছুর। সোমবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে এ তথ্য স্বীকার করেছেন ‘প্রক্সি’ দেওয়া নূরে আলম।

দুদকের আইনজীবী রুহুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, আমরা একটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি, আসামি আনিছুর রহমানের জায়গায় আর এক আত্মীয় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গিয়েছেন। তাই আমরা আজ আদালতে দরখাস্ত দেই। ওই মামলাগুলোর একটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারিত থাকায় ওই আসামিকেও আদালতে আনা হয়। বিচারক তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সত্য বলে দেন।

নূরে আলাম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, আমি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান নই। মেয়র আনিসুর রহমানই এই মামলার আসামি। তার জায়গায় আমি এই মামলায় গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করি। আদালত জামিনের দরখাস্ত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। আমি আনিছুরের রূপ ধারণে করে আত্মসমর্পণ করে ভুল করেছি। আমি ক্ষমা চাই।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খানের আদালতে আনিছুর রহমান চার মামলায় ও আ. মান্নান দুই মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১০ সালে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে শ্রীপুর পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত পাঁচটি হাট-বাজার থেকে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ২শ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম মামলা করেন। ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন।

দুদকের অন্য এক মামলার অভিযোগ বলা হয়, পৌরসভার রশিদের মাধ্যমে আদায় করা ট্যাক্স ও বিবরণীর ৪৩ লাখ ৭৬ হাজার ১০৭ টাকা পৌরসভার তহবিলে জমা না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৬ সালের ১২ জুলাই চার্জশিট দাখিল করেন। দুদকের অন্য দুই মামলাতেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন-

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় শ্রীপুরের মেয়রসহ দুইজন কারাগারে

সারাবাংলা/এআই/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ইনজুরিতে মৌসুম শেষ রদ্রির
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮

সম্পর্কিত খবর