নির্বাচনকালীন সরকার ‘মেনে নেবে না’ বিএনপি

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: নির্বাচনের জন্য এ সরকারের মাধ্যমে এককভাবে নতুন কোনো মন্ত্রিসভা করা অযৌক্তিক এবং সেটি আমরা গ্রহণ করব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

নোমান বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ সরকারের ওপর দেশের মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। সরকার চায় আগামী জাতীয় নির্বাচন তাদের অধীনে করতে। এটা জনগণ মেনে নেবে না।’

বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আইয়ুব খানের সময় একই অবস্থায় আমরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার পরাজয় হয়েছে। ইয়াহিয়া খানও পরাজিত হয়েছেন। এরশাদ পরাজিত হয়েছেন। তাদের সকলের কাছে অস্ত্র ছিল। বন্দুক, রাইফেল বা হাতিয়ার তাদের সবার ছিল। কিন্তু এগুলো দিয়ে রাস্তার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেননি। রাস্তার আন্দোলন সফল হয়েছে, তারা পরাজিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পরাজয়ও অনিবার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার অর্থনৈতিকভাবে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। ব্যাংকগুলো লুটপাট করেছে, স্টক এক্সচেঞ্জের হাজার হাজার টাকা তাদের নেতাদের পকেটে চলে গেছে। সরকারি- বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে তাদের হস্তক্ষেপের কারণে এখন দেশ একটি অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

খালেদা জিয়া বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণের নেত্রী দাবি করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘সে জন্যই আমরা তার মুক্তি দাবি করছি। আগামী নির্বাচনে তার ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রয়োজন। তিনি নির্বাচনের পূর্বে মুক্ত হয়ে আসুক এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখুক।’

‘খালেদা জিয়া অবশ্যই মুক্ত হবেন’ উল্লেখ করে নোমান বলেন, ‘সবার আগে তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। এই চিকিৎসা যদি না দেওয়া হয়, তাহলে বাংলার মানুষ একদিন গর্জে উঠবে। এই গর্জে ওঠা কোনো নতুন ঘটনা নয়। ৭১ সালে আমরা গর্জে উঠে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। গর্জে উঠেছিলাম এরশাদের সময়, মাত্র চারদিনের আন্দোলনে এরশাদ পরাজিত হয়েছিলেন।’

‘আবারও গর্জে উঠে এই সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। এ প্রতিজ্ঞা নিয়ে যদি আমরা অগ্রসর হই তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের যে অতীত ঐতিহ্য তার ধারাবাহিকতা আমরা বজায় রাখতে পারব’ বলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও ড্যাব মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড্যাবের সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াসহ অন্যরা।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই সরকারে বাইরের বা টেকনোক্র্যাট কেউ থাকবেন না।

সারাবাংলা/এসও/একে

জাতীয়-নির্বাচন নির্বাচনকালীন সরকার