নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হেলে পড়েছে পদ্মায়
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পদ্মায় হেলে পড়েছে নড়িয়ার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের একাংশ। ভবনের ভেতরে থাকা টাইলস, জানালার গ্লাসসহ সবকিছু ভেঙে ভেতরে পড়ে আছে। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টি হলে পুরো হাসপাতাল ভেঙে পড়তে পারে পদ্মায়।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. উত্তম কুমার দত্ত সারাবাংলাকে বলেন, হাসপাতালের নতুন ভবনের একাংশ গতকাল থেকেই ভাঙছিল। কাল সারাদিন পদ্মার ভেতরে দাঁড়িয়ে থাাকলেও আজ সেটি হেলে পড়েছে। তবে স্রোতের তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে।
স্থানীয় চিকিৎসক ও নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা ডা. গোলাম ফারুক বাবুল জানান, মঙ্গলবার পদ্মার স্রোত কিছুটা কমে এসেছে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, স্রোত একটু কমে আসাতে হয়তো পুরো হাসপাতাল ভেঙে নাও পড়তে পারে। তবে বৃষ্টি হলে সে সম্ভাবনা আর থাকবে না। কারণ, নতুন ভবনের ভেতরে ফাটল ধরেছে, বৃষ্টি হলে সে পানি ভেতরে গিয়ে ফাটল পর হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।
জানা গেছে, এরই মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরর ভেতরে থাকা রোগীদের কমিউনিটি হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে গুরুতর দুই/তিন জন রোগীর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে রোগী রয়েছে কি না— জানতে চাইলে ডা. উত্তম কুমার দত্ত বলেন, রোগীরা আসছেন। কিন্তু ভর্তি থাকছেন না। আমরাও খুব জরুরি না হলে ভর্তি নিচ্ছি না। যাদের জরুরি বলে মনে করছি, তাদের অন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে পদ্মার ভাঙন তীব্র হয় শরীয়তপুরে নড়িয়াতে। এরই মধ্যে সেখানে চার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হারিয়েছে তাদের বসত-ভিটা। প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়ক এখন পানির নিচে চলে গেছে, নড়িয়া উপজেলার মুক্তারের চর ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড এবং কেদারপুর ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ড এরই মধ্যে পদ্মার গর্ভে হারিয়ে গেছে, পৌরসভার বাজারের ৪০টি দোকান চলে গেছে পদ্মায়।
সারাবাংলা/জেএ/টিআর