এ সপ্তাহে উৎপাদনে যাচ্ছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৪৯
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
দিনাজপুর: টানা ৮৩ দিন বন্ধ থাকার পর খনিতে উত্তোলন কাজ চালু হওয়ায় দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় উৎপাদনে যাচ্ছে। অন্যদিকে খুব দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কয়লা উত্তোলনে যাবে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এমন আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকরা বলছেন, অনেক কষ্টের পর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উত্তোলন কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে কয়লা উত্তোলন আরও বাড়বে। বর্তমানে উত্তোলনকৃত কয়লা পাশ্ববর্তী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার সারাবাংলাকে জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ঠিকভাবে কয়লা সরবরাহ করা হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদনে যাবে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এরইমধ্যে বড়পুকুরিয়া থেকে উত্তোলনকৃত কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ শুরু করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করার চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে উত্তরের ৮ জেলার মানুষরা লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বাঁচবে এই অঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। চলতি আমন চাষে বিদ্যুৎ অভাবে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা দ্রুত সমাধান হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, খনির নতুন ফেইস থেকে উত্তোলনকৃত কয়লা সব পাশ্ববর্তী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে। সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় অনেক কম কয়লা উত্তোলন হচ্ছে। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২ হাজার থেকে ২২’শ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।
গত ১৬ জুন থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূ-গর্ভের ১২১০ নং ফেসের কয়লা উত্তোলন কাজ শেষ হয়ে যায়। নতুন ফেসে কয়লা উত্তোলন করতে সময় লাগবে প্রায় তিন মাস। এরই মধ্যে ওই খনির কয়লা দিয়ে পাশের ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা খনির ইয়ার্ডে মজুদ না থাকায় নড়েচড়ে বসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। বন্ধ হয়ে যায় দেশের একমাত্র কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। হিসেবে দেখা দেয় ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা মজুদের গড়মিল। ঘটনায় গঠন হয় তদন্ত কমিটি। দফায় দফায় পরিদর্শন ও ছুটাছুটি শুরু হয় পেট্রোবাংলার। এ ঘটনায় গত ১৯ জুন পার্বতীপুর মডেল থানায় খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। বর্তমানে মামলার তদন্ত কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সারাবাংলা/এমএইচ/জেএএম