আকাশবীণার সংবাদের বিষয়ে বিমানের বক্তব্য
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৫৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ড্রিম লাইনার বোয়িং-৭৮৭ আকাশবীণা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আজ বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) এয়ারলাইন্সটি গণমাধ্যমে এ প্রতিবাদ পাঠায়। সেখানে বলা হয়, ‘আকাশবীণার কোনো দরজা ভাঙেনি, বিমানটির কোনো দরজার ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে জরুরি নির্গমণ দরজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি র্যাফট খুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জরুরি অবস্থায় যাত্রীদের বিমান থেকে বের হওয়ার জন্য এই র্যাফট দরজার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। যেটার মাধ্যমে যাত্রীরা দ্রুত উড়োজাহাজ থেকে বের হতে পারেন।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে মালয়েশিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরে ড্রিমলাইনার আকাশবীণা। যাত্রী নেমে যাওয়ার পর নিয়মিত গ্রাউন্ড চেক-এর অংশ হিসেবে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয় বিমানটি। পরবর্তী ফ্লাইটের যাত্রীদের খাবার বিমানে ওঠানোর জন্য দরজা খোলার সময় র্যাফট খুলে যায়। এ প্রেক্ষিতে প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন সংস্থা ‘আইকাও’, সিভিল অ্যাভিয়েশন এবং উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং-এর নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সম্পন্ন করেন এবং ঐ দিন সকালে ঢাকা থেকে সিংগাপুরে ড্রিমলাইনারের নির্ধারিত ফ্লাইট ১৮ মিনিট দেরিতে ৮টা ৪৩ মিনিটে ঢাকা ছাড়ে।
উড়োজাহাজটি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে এবং আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। র্যাফট খুলে যাওয়ার বিষয়ে কারও কোনো দায়িত্বে অবহেলা আছে কি-না সে বিষয়ে একটি তদন্তে কমিটি গঠিত হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তার ফ্লাইট পরিচালনায় যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ড্রিমলাইনার পরিচালনার জন্য বিমানের নিজস্ব ১৪ জন বৈমানিক ও ১১২ জন প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বোয়িং অনুমোদিত ২ জন বিদেশি বৈমানিক ও ৬ জন বিদেশি প্রকৌশলী ড্রিমলাইনার পরিচালনার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন সংস্থা আইকাও, বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি) এবং উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এর নিয়ম-নীতি প্রতিপালন করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
সারাবাংলা/জেএ/এমআই