খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকে র্যাবের চিঠি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:০৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : ওএমএস এর মালামাল চোরাকারবারির সময় কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরার পর দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) একটি চিঠি দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। চিঠিতে চোরাকারবারিদের দুর্নীতিসহ জ্ঞাত বহির্ভূত আয় ও স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিক চিঠিটি দুদকে পাঠানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সন্ধ্যায় সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সারওয়ার আলম বলেন, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ওএমএস এর মালামাল রাতের আধারে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেজগাঁও কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের সামনে থেকে গভীর রাতে তিনটি আটা ভর্তি ট্রাককে আটক করা হয়। ট্রাক তিনটির একটি চুয়াডাঙ্গা, একটি শ্রীমঙ্গল ও অন্যটি গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে শ্রমিকরা জানিয়েছে। এছাড়া কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিং ও তার আশেপাশের সড়ক থেকে আরও চাল ভর্তি পাঁচটি ট্রাক আটক করা হয়। মোট ২১৫ টন চাল ও আটা জব্দ করা হয়। তবে কার আদেশে এসব চাল ও আটা কার কাছে যাচ্ছিল তা কেউ বলতে পারেনি।
ওই ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা করেছে র্যাব। ঘটনার গভীরে ঢুকতে একটি তদন্তও করে তারা। তদন্তে নানা অসংগতি বেরিয়ে আসে কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সেই প্রতিবেদনের কপিও জমা দেওয়া হয়েছে দুদকে। প্রতিবেদনে তেজগাঁও খাদ্য গুদামের ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবিরকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার সারাবাংলাকে বলেন, র্যাব শেষ বেলায় একটি চিঠি দিয়েছে। ওএমএস এর মালামাল রাতের আধারে লুট হয়ে যায়। এরকম দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে। তাদের স্থাবর, অস্থাবর ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি খতিয়ে দেখার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএমএন