Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্রীমঙ্গলে ময়লার ভাগাড় অপসারণের দাবি শিক্ষার্থীদের


১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:১২

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্তুপ। আর এই স্তুপের ময়লা আর্বজনার প্রচণ্ড দুর্গন্ধে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানাবিধ সমস্যায় আছে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ স্থানীয়রা। আর্বজনার স্তুপের দুর্গন্ধে ব্যাহত হচ্ছে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টম্বর) দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনের ভাগাড় অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় জনতাসহ শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কবি সাহিত্যিক শিক্ষক জহিরুল মিঠু। তিনি বলেন, অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে থেকে ময়লার ভাগাড় স্থানান্তরিত না করলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের নিয়ে মানববন্ধন অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘদিন এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীরা এই ভাগাড় অপসারণে একের পর এক মানববন্ধন করলেও কোনো সুফলই মিলছেনা বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, শ্রীমঙ্গলে পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত কলেজ রোড এলাকায় পৌরসভার প্রায় এক-একর পতিত জমি রয়েছে। শহরের সব ময়লা-আর্বজনা পৌরসভার পরিছন্ন কর্মীরা প্রতিদিনই এখানে ফেলছে। প্রতিদিনের ময়লা-আর্বজনা ফেলার কারণে এই জায়গায় গড়ে উঠেছে বিশাল আর্বজনার স্তুপ। সেই স্তুপ থেকে আসা দুর্গন্ধে অতিষ্ট স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ ও দি বাডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং পশ্চিম পাশে আছে গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদরাসাসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের ছাত্র মান আহমেদ জানান, ময়লার প্রচণ্ড দুর্গন্ধে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করা কষ্টকর। ময়লার গন্ধে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। ময়লার গন্ধে অনেক সময় ক্লাসে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

ময়লা স্তুপের আশেপাশের বাসিন্দারা বলেন, ‘জোরে বাতাস বইতে শুরু করলে ঘরের ভেতর পর্যন্ত গিয়ে গন্ধ ঢুকে যায়। তখন দম নেওয়া যায় না। কিন্তু কিছু করার নাই। ঘরবাড়ি ছেড়ে তো যাওয়া যায় না, তাই থাকি।’

শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল মালেক বলেন, ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধের জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অসুবিধা হচ্ছে। ময়লার গন্ধের কারণে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের জটিলতা সৃষ্টি হয়। অনেকে ক্লাসে আসা কমিয়ে দিয়েছে।

শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসীন মিয়া মধু সারাবাংলাকে বলেন, ময়লা ফেলার স্থানটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন জায়গা ঠিক করা হয়েছে। ২০১২ সালে হাওরে নতুন আরেকটি জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। বর্তমানে জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আইনি জটিলতা কেটে গেলে দ্রুতই এই ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এমএইচ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

এখনো সালমানকে মিস করেন মৌসুমী
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩

সম্পর্কিত খবর