ইচ্ছে হলেই ঘুরে আসুন চাঁদের চারপাশ: স্পেসএক্স
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:০৩
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
এলন মাস্কের মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্স যুগান্তকারী এক ঘোষণা দিয়েছে গত সোমবার। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নিজেদের বিগ ফ্যালকন রকেট (বিএফআর) এ চড়িয়ে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের চারপাশ ঘুরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে একজন যাত্রীর সঙ্গে চুক্তি সই করে ফেলেছে তারা।
এখন থেকে প্রায় প্রতিদিনই উড়বে বিএফআর, যে কেউ স্বাদ নিতে পারবে মহাকাশ ভ্রমণের, এমনটাই বলছে স্পেসএক্স। তবে মহাকাশ পর্যটনের এই নবযুগের সূচনা ঠিক কবে থেকে শুরু হচ্ছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রথম সৌভাগ্যবান যাত্রীর ব্যাপারে কোনো কিছু জানাতে পূর্বের মতোই মুখে কুলুপ এঁটেছে স্পেসএক্স।
এর আগে ২০১৭ সালের এক ঘোষণায় স্পেসএক্স জানিয়েছিল, ওই বছরই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে ইচ্ছুক ২ জন মহাকাশ পর্যটক যথেষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে রেখেছে। কিন্তু স্পেসএক্সের ঘোষিত সে যাত্রাটি এখনো অপেক্ষমাণ রয়েছে এবং পর্যটকদের কেনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মহাকাশ যাত্রার ওই বিলম্ব নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, অনন্ত শূন্যতায় উড়াল দেওয়ার সঠিক সময় ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পূর্বের ওই ঘোষণায় আরও বলা হয় যে, স্পেসএক্সের নিজস্ব ‘ড্রাগন মহাকাশযান’ এ চড়িয়ে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হবে এবং এই যানটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করবে ফ্যালকন হেভি রকেট।
মূলত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী ও মালামাল পরিবহণের কাজে ড্রাগন মহাকাশযানকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরদিকে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে প্রথমবারের মতো উড্ডয়ন করে ফ্যালকন হেভি রকেট। এটিই হচ্ছে মানুষের তৈরি এযাবতকালের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী রকেট।
১৮টি জাম্বো জেট ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ক্ষমতার শক্তিতে পৃথিবী থেকে মহাশূন্যের দিকে ছুটে যায় ফ্যালকন হেভি রকেট। এটি দৈর্ঘ্যে ৭০ মিটার, প্রস্থে ১২ মিটার। অপরদিকে বিগ ফ্যালকন রকেট (বিএফআর) এর দৈর্ঘ্য ১০৬ মিটার এবং প্রস্থ ৯ মিটার।
সারাবাংলা/এএস