ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার চারদিনেও খোঁজ মেলেনি ৫ জনের
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:৪০
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে গাড়ি থামিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার চার দিনেও সন্ধান মেলেনি ঢাকা বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাফিউল আলম। একইদিন আরও চারজনকে রাজধানী থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
তাদের অভিযোগ রাজধানীর সবকটি থানা ও ডিবি অফিসে গিয়ে খোঁজ করেও কারও কোনো সন্ধান মেলেনি।
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা।
নিখোঁজ হওয়া বাকি চারজন হলেন, ঢাকা হাইটেক বাংলার কর্মকর্তা মনিরুল আলম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আবুল হায়াত, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ ও ডগাইর ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসাইন মায়াজ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ শাফিউল আলম ও মনিরুল আলমের মা রমিছা খানম।
লিখিত বক্তব্যে রমিছা খানম বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে প্রথমে আমার ছেলে মনিরুল আলম ও তার সাথে থাকা বন্ধু আবুল হায়াতকে ঢাকা বিমানবন্দর সড়ক থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। ওইদিন পবিত্র হজ্জ পালন শেষে ঢাকায় পৌঁছে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য আমরা মাইক্রোবাসে উঠি। ঠিক তখনই একদল সাদা পোশাকের লোক অনেক মানুষের সামনে থেকে টানাহেঁচড়া শুরু করে। তখন আমি চিৎকার শুরু করি।
তা শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডিবির পরিচয়ের লোকজন তাদের পরিচয়পত্র ও অস্ত্র দেখিয়ে তাদেরকে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের অপরাধ জানতে চাইলে তারা কিছুই বলেনি।
এরপর ওই রাতেই আমার আরেক ছেলে শাফিউল আলমকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন গভীর রাতে তার বাসায় থাকা দুই রুমমেট সফিউল্লাহ ও মায়াজকে তুলে নিয়ে যায়।
রমিচা বেগম আরও বলেন, আমার জানামতে সন্তানদের কোনো অপরাধ নাই। এরপরেও কোনো অপরাধ থাকলে তাদের বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হোক। কিন্তু তা না করে কোথায় তাকে আটকে রাখা হয়েছে তা জানি না। অবিলম্বে সন্তানদের জনসম্মুখে হাজির করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেনকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
মনিরুল আলম ও শাফিউল ইসলামের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুরে, আবুল হায়াতের বাড়ি চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদরে, সফিউল্লাহর বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও মায়াজের বাড়ি ঢাকার ডেমরা সারুলিয়া এলাকায় বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সারাবাংলা/ইউজে/একে