ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বসেছে ঢাবি প্রশাসন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৩০
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে ঢাবি প্রশাসন।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপাচার্য কার্যলয় সংলগ্ন অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধু বাধ্যবাধকতা থেকে এটি করলে কোনো ফল হবে না বলে তারা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় উপাচার্যসহ তিনজনকে গত ৪ সেপ্টেম্বর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশনার পরও ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আক্তারুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। এর পরই কর্তৃপক্ষ ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা আহ্বান করেছে। এ হিসেবে অনেকে মনে করছেন এটি বাধ্যবাধকতার সভা।
গত ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়। কর্তৃপক্ষ কতটি সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তা নির্দিষ্টভাবে বলেনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন ক্রিয়াশীল সবাইকে আমন্ত্রণা জানানো হয়েছে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (২টি) ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সবগুলো ছাত্র সংগঠন তবে তাদের মানে আশঙ্কাও রয়েছে। কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতারা বলেছেন এটা যদি নিয়মরক্ষার সভা না হলে তাহলে অবশ্যই স্বাগত জানাব। আর বাধ্যবাধকতা থেকে বিশেষ কোনো কিছুকে দেখানোর জন্য যদি এটা করা হয় তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক হবে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, আমরা ইতিবাচক ভাবেই দেখছি যদি আলোচনা সভা যেন লোক দেখানোর জন্য না হয়। কর্তৃপক্ষ যদি শুধুমাত্র প্রতিবেদনের জন্য এটা করে তাহলে এটা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো উপকার হবে না।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিলানী শুভ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এই উদ্যোগ আরো আগেই নেওয়া উচিত। কিন্তু তারা সেটা দেরি করছে। আমরা জানি না কি আলোচনা হবে কিংবা আলোচনা কতটা ফলপ্রসু হবে। তবে আমরা চাইব ডাকসু নির্বচনের জন্য প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী সারাবাংলাকে বলেন, আমরা স্বাগত জানাই। তবে এটি যদি শুধুমাত্র আদালতের বাধ্যবাধকতার জন্য করা হয় তাহলে কোনো লাভ হবে না বলেও মত দেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএমএন