‘প্রশ্নপত্র তৈরিতে গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে প্রশ্ন ব্যাংক করা হবে’
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:২৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: প্রশ্নপত্র প্রণয়নে গোপণীয়তা নিশ্চিত করতে সকল বোর্ডের সমন্বিত উদ্যোগে প্রশ্ন ব্যাংক তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমান শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রশ্ন ব্যাংক তৈরির জন্য সফলওয়ার তৈরির কাজ চলছে।
সফটওয়ারটি তৈরি হলে বাংলাদেশ পরীক্ষা মূল্যায়ন ইউনিটের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অনলাইনে তৈরি করা প্রশ্নপত্র প্রশ্নব্যাংকে পাঠাবেন। সেখান থেকে সুপার মডারেটরদের দিয়ে মডারেশন হয়ে পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত প্রশ্নপত্র তৈরি হবে। এর ফলে পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্রের গোপণীয়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব তথ্য জানান।
সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। উন্নয়নকে গতিশীল ও স্থায়ী করতে এসডিজিতে শিক্ষাকে মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। দেশের সকলের জন্য যুযোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বমান অর্জনে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতেও শিক্ষা ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে এবং জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে এ প্রয়াস সহায়ক হবে বলে আশা করি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস শিক্ষাক্ষেত্রে গৃহীত কার্যক্রমসমূহ রূপকল্প-২০২১-এর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষক-অভিভাবক-সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, কমিউনিটি নেতা-ইমাম-গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ-ন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এরূপ কার্যক্রমের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুযোপযোগি করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মূল ধারায় সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ‘আল হাইয়াতুল উলুম লিলজামি আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীন কওমি মাদ্রাসার হাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানের উদ্দেশ্যে খসড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটি বর্তমানে সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী মাসের মধ্যে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করা হবে। তবে কতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে করা হবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই