‘বাংলাদেশে সহনশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক মনোভাবের জোরালো ঐতিহ্য রয়েছে’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:২৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘শান্তি, পারস্পরিক সহনশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক মনোভাব- বাংলাদেশে এ সবকিছুরই রয়েছে এক জোরালো ঐতিহ্য। একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে থাকা একটি রাষ্ট্রের জন্য।’
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট এসব কথা বলেন।
ইউএসএআইডি-ইউকেএআইডির যৌথ সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচার বিষয়ক কর্মসূচি ‘শান্তিতে বিজয়’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট বলেন, ‘হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় অবদান রাখতে পারবো। সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, মিডিয়া এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা-বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে এ কাজ করতে সক্ষম হবো।’
সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থকদের অবশ্যই নিজেদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ, প্রচারণা চালানো এবং ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়া শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইস্যু বা নীতির বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বৈধ অংশগ্রহণকারী এবং পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য নেতা হিসেবে মেনে নিতে হবে।’
নির্বাচন চলাকালে এবং আগে ও পরে সহিংসতা এড়াতে আহবান জানিয়ে মার্শিয়া বার্নিকাট বলেন, ‘বাংলাদেশিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে- নির্বাচনের আগে, চলাকালে এবং পরে- সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে অহিংস আচরণ করার আহ্বান জানাতে হবে। সহিংসতা শুধু তাদেরই কাজে আসে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ ও তার নাগরিকদের স্বার্থহানি করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধানগুলোতে এ ধারণাটি গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে যে, সব মানুষ জন্মগতভাবে সমান এবং চিন্তা, উদ্ভাবন ও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ আর স্বাধীনতা দেওয়া হলে প্রতিটি মানুষের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। আমার প্রত্যাশা, আজকের এ অনুষ্ঠান বাংলাদেশে শান্তি বজায় রাখা এবং সব নাগরিকের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে উৎসাহিত করবে।’
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জানান, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ক কর্মসূচি ‘শান্তিতে বিজয়ের’ অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র সরকার, যুক্তরাজ্য সরকার এবং সবার অর্থাৎ বাংলাদেশি সহযোগীদের অনন্য সহযোগিতার ফসল। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে উন্নয়ন আর প্রগতির আকাঙ্খা ও উচ্চাভিলাষ।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই