Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তথ্যপ্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে


১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৪৬

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্মকে উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে প্রযুক্তি দুনিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, ডিজিটাল শিল্পবিপ্লব অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে বর্তমানকে অতিক্রম করে এমন এক জায়গায় যাবে যা কল্পনাও করা যায় না। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে প্রচলিত শিক্ষা ব্যক্তি, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে কাজে লাগানো যাবে না।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা নতুন প্রযুক্তি আত্মস্থ করার ক্ষমতা রাখে, তারা প্রযুক্তির নতুন ভার্সন নিয়ে চিন্তা করার মানসিক অবস্থানে রয়েছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করা, উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর গ্রামীণফোন হাউজে অনুষ্ঠিত টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৮–এর গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বক্তব্যে আরও বলেন, ফোর-জি প্রযুক্তির পর ফাইভ-জি প্রযুক্তি ডিজিটাল দুনিয়ায় আসন্ন। বাংলাদেশ ইতোপূর্বে সফলভাবে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।

তিনি বলেন, ফাইভ–জি প্রযুক্তি দুনিয়াকে পাল্টে দিতে পারে। যেখানে ফোর–জি প্রযুক্তিতে মাত্র ৪-এমবিপিএস ডাটার প্রয়োগ হয়, সেখানে ফাইভজি ৪-জিবিপিএস ডাটা প্রয়োগ করতে পারবে। এর সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস ডাটা, ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং এবং আইওটি যুক্ত হলে পৃথিবীর অবস্থা কী হবে তা এখনো কল্পনার বাইরে বলেও মন্তব্য করেন মোস্তাফা জব্বার।

বিজ্ঞাপন

মোস্তফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে প্রযুক্তির এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হতো মাত্র ৭ দশমিক ৫০ জিবিপিএস। বর্তমানে ৭৫০ জিবিপিএস ব্যাবহৃত হচ্ছে। দেশে ২০০৮ সালে ৪০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে সাড়ে আট কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তখন দেশে সাড়ে তিন কোটি মোবাইল ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে পনের কোটিতে উন্নীত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দেশে কম্পিউটারের শুরু ১৯৬৪ সালে এবং এর বিকাশ হয় ১৯৯৬- ২০০১ সালে শেখ হাসিনার হাতে। তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি বিকাশে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের ৮১টি দেশে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রপ্তানি করছে। তরুণদের জন্য স্টার্টআপসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি। এ সময় মন্ত্রী টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের দুই বিজয়ী সামীন আলম ও সায়মা মেহেদী খানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

সারাবাংলা/এসও/এমআই

তথ্য প্রযুক্তি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর