রোহিঙ্গাদের জন্য তেল ও স্টোভ দিল ভারত
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:১৪
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
কক্সবাজার : রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ভারতের পক্ষ থেকে তৃতীয় দফা ত্রাণ বিতরণনের আগে এসব কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
এসময় ভারত সরকার ও দেশটির জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে রোহিঙ্গাদের জন্য ১১ লাখ লিটার কেরোসিন ও ২০ হাজার স্টোভ অনুদান হিসেবে তুলে দেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি জানান, এসব কেরোসিন ও স্টোভ ২০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের ৫ মাসের জ্বালানির চাহিদা মেটাবে।
একই সময় উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবির-১২ তে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণ বিতরণ উদ্বোধন করেন মোফাজ্জল হোসেন চোধুরী মায়া ও হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ‘ভারত প্রয়োজনের সময় সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস, বন্ধুত্ব ও শহীদদের আত্মত্যাগ, যা যে কোন কৌশলগত সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। বন্ধুত্বের এই চেতনাতেই আমরা তাঁদের বোঝা হালকা করতে এগিয়ে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও সাহায্য করব। আমরা বাস্তুচ্যুত মানুষদের দুর্দশা বুঝতে পারি এবং তাদের সহায়তায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।’
ভারত রাখাইন রাজ্যে সুসজ্জিত গৃহনির্মাণ শুরু করেছে জানিয়ে শ্রিংলা বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা ২৫০টি বাড়ি নির্মাণ করছি যেগুলোর নির্মাণকাজ শেষের দিকে। মিয়ানমারের মংডু জেলার ক্যিং সং নামের একটি গ্রামে ৫০টি বাড়ির ভিত্তি নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই বাড়িগুলি নির্মাণের উদ্দেশ্য হল উৎখাত হওয়া ব্যক্তিদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনে সহায়তা করা।’
এসময় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বাংলাদেশের পাশে ছিল। এখন রোহিঙ্গা সংকটেও পাশে আছে। আশা করি সব সময় এভাবে পাশে থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদারসহ অন্যরা।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভারতীয় হাই কমিশনার ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে পৌঁছেন। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন তারা।
সারাবাংলা/এসএমএন