ঢাকা-না.গঞ্জ-ডেমরায় নিষ্কাশনের জন্য ১৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৩৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা এলাকার নিষ্কাশনের জন্য নারায়নগঞ্জ সদরে ১৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সংসদে গোলাম দস্তগীর গাজী পানিসম্পদমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোন উপজেলায় কোনো প্রকল্পের অনুকূলে অর্থবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা এবং বরাদ্দ দেওয়া হলে তা কী?
জবাবে পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ডিএনডি সেচ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জ সদরে ২১ দশমিক ০৩ লাখ টাকা, রূপগঞ্জে এনএনডি সেচ প্রকল্পের জন্য ২৭ লাখ টাকা, রূপগঞ্জ এনএনআইপি (ব্লাক-এ/১) সেচ প্রকল্পে ৫৩ লাখ টাকা ও আড়াই হাজারে নদীর তীর সংরক্ষণে ৩৪ দশমিক ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নারায়ণগঞ্জ ডিএনডি সেচ প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, রূপগঞ্জ এনএনডি সেচ প্রকল্পের জন্য ৫৫ লাখ টাকা, রূপগঞ্জ এনএনআইপি (ব্লাক-এ/১) সেচ প্রকল্পে ৫৫ দশমিক ৭৫ লাখ টাকা ও আড়াই হাজারে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর পরের অর্থবছর ২০১৬-১৭-এ নারায়ণগঞ্জ সদরে ডিএনডি এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ২ কোটি ৫৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, নারায়ণগঞ্জ সদর ডিএনডি সেচ প্রকল্পের জন্য ৩৭ দশমিক ৫০ লাখ টাকা, রূপগঞ্জ এনএনডি সেচ প্রকল্পের জন্য ৩৬ লাখ টাকা, রূপগঞ্জ এনএনআইপি (ব্লাক-এ/১) সেচ প্রকল্পের জন্য ৪৬ দশমিক ৯৯ লাখ টাকা ও আড়াই হাজার নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ২৫ দশমিক ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এছাড়া, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নারায়ণগঞ্জ সদরে ডিএনডি সেচ প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা, রূপগঞ্জ এনএনডি সেচ প্রকল্পের জন্য ৪২ লাখ টাকা, রূপগঞ্জ এনএনআইপি (ব্লাক এ/১) সেচ প্রল্পের জন্য ৫৮ লাখ টাকা ও আড়াই হাজার নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান মন্ত্রী।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর