Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আড়াইশ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা আইএফসি’র


১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৫৮

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে দুইশ থেকে আড়াইশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের এই অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে ৪২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২০১৭ থেকে ২০১৯ অর্থবছরের জন্য আইএফসি’র বিনিয়োগ পরিকল্পনা শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএফসির বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের পরিচালক মেনগিসটো এলামায়িহু ও বিডার চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম।

কর্মশালায় জানানো হয়, ২০১৮ সালের জুলাই প্রর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ অর্থিক খাতে, অবকাঠামো খাতে ২৮ শতাংশ, কৃষি ব্যবসা ও উৎপাদনে ১৭ শতাংশ এবং টেলিকমে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ হবে।

আইএফসি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তিন কোটি মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনতে চায় বলে জানানো হয়। তাদের লক্ষ্য, এসএমই খাতে ৬ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি ও ৪ লাখ কৃষককে সেবার আওতায় আনা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় গ্রিডে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের সরবরাহ, ১ হাজার ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ এবং ৮ লাখ ৫০ হাজার সবুজ বাড়ি বা কারখানা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এসব করতে আইএফসি উৎপাদনমুখী শিল্প ও এর লজিস্টিক সেবায় ৩ হাজার ৫৫০ মিয়িন ডলার এবং পরিবহন খাতে ১ হাজার ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর বিনিয়োগের জন্য তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সহজ শর্তে ঋণ, যেটা বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থাগুলো ১৯৯৬ সালের পর থেকে করে আসছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বর্তমানে সুখের। এর ধারবাহিকতায় ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও গভীর ও মধুর হবে। কেননা, এ সরকার একটি কল্যাণমুখী সরকার। আর সরকারের কল্যাণমুখিতার জন্য অনেক বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সহায়তা দিন দিন বাড়াচ্ছে।

মুহিত বলেন, এ দেশের অনেকেই ধনী হয়ে গেছেন। তাদের জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখনও প্রচুর মানুষ গরীব। তাদের জন্য কিছু করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

কর্মশালায় বিডা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংক আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য তাদের সহযোগিতা বাড়াবে— এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। মনে রাখতে হবে, জনগণের উন্নয়নে সরকার প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এমনকি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্যও প্রচুর পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করতে হলে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তা জরুরি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর