চাঁদের প্রথম পর্যটক হচ্ছেন জাপানের ইউসাকু: স্পেসএক্স
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৩৯
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের চারপাশে ঘুরিয়ে আনতে নিজেদের প্রথম ব্যক্তিগত যাত্রীর নাম ঘোষণা করেছে এলন মাস্কের মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্স। সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি হচ্ছেন জাপানের বিলিয়নিয়ার ও অনলাইন ফ্যাশন টাইকুন ইউসাকু মায়েজাওয়া (৪২)।
এরপর অপর এক ঘোষণায় ইউসাকু মায়েজাওয়াও বলেছেন, ‘আমি চাঁদে যেতে চাচ্ছি’। বিগ ফ্যালকন রকেটে (বিএফআর) চড়িয়ে তাকে চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে মহাকাশ ভ্রমণে এই রকেট প্রযুক্তি উন্মোচন করেছিলেন এলন মাস্ক।
চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার এই মিশনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সাল। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার হথোর্নে স্পেসএক্সের সদরদপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, চাঁদে প্রথম মানব পদচিহ্ন পড়ার পর সর্বশেষ ১৯৭২ সালে নাসার অ্যাপোলো ১৭ মিশনের সময়টিকেও বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখা হবে।
স্পেসএক্স বলছে, মহাকাশ পর্যটনের নবযুগের সূচনা করে দিতে প্রায় প্রতিদিনই উড়বে বিএফআর, যে কেউ এর সুযোগ নিতে পারবে। এর আগে, মাত্র ২৪ জন ব্যক্তির চাঁদে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। যাদের প্রত্যেকেই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
এর আগে এক ঘোষণায় বলা হয় যে, স্পেসএক্সের নিজস্ব ‘ড্রাগন মহাকাশযান’ এ চড়িয়ে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হবে এবং এই যানটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করবে ফ্যালকন হেভি রকেট।
মূলত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী ও মালামাল পরিবহণের কাজে ড্রাগন মহাকাশযানকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরদিকে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে প্রথমবারের মতো উড্ডয়ন করে ফ্যালকন হেভি রকেট। এটিই হচ্ছে মানুষের তৈরি এযাবতকালের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী রকেট।
১৮টি জাম্বো জেট ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ক্ষমতার শক্তিতে পৃথিবী থেকে মহাশূন্যের দিকে ছুটে যায় ফ্যালকন হেভি রকেট। এটি দৈর্ঘ্যে ৭০ মিটার, প্রস্থে ১২ মিটার। অপরদিকে বিগ ফ্যালকন রকেট (বিএফআর) এর দৈর্ঘ্য ১০৬ মিটার এবং প্রস্থ ৯ মিটার।
সারাবাংলা/এএস