শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা কমিয়ে আনবে যুক্তরাষ্ট্র
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৫৬
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে বৈধ শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা চিন্তা করছে। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ হাজার শরণার্থী বসবাসের অনুমতির কথা থাকলেও ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ৩০ হাজারে নামিয়ে আনা হবে বলে রয়টার্সের এক সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়।
স্থানীয় সময় সোমবার(১৭ সেপ্টেম্বর) এক ঘোষণায় পম্পেও বলেন, দুই লক্ষ আশি হাজার আশ্রয়প্রার্থীর মধ্যে আমরা পুনর্বাসন এর জন্য আগামী বছর সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার শরণার্থীর কথা ভাবছি। যেসব শরণার্থীর আশ্রয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি হতে পারে তাদের দায়িত্ব নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে। পম্পেও এসময় নিরাপদ অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমেরিকা বেশ উদার বলে অভিহিত করেন।
পেন্টাগন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও শরণার্থী প্রবেশের সীমা ৪৫ হাজার থেকে কেন হঠাৎ কমিয়ে আনা হলো সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বছর মাত্র ২২ হাজার শরণার্থীকে দেশটিতে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা কিনা ঠিক করা সর্বোচ্চ সংখ্যারও অর্ধেক।
শরণার্থী বিশেষজ্ঞরা নতুন এই প্রস্তাবনার বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শরণার্থীদের নিরাপত্তা বিষয়ক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ‘হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট’ এর কর্মকর্তা জেনিফার কোয়াইগলি বলেন, এই ঘোষণা ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে শরণার্থী বিপর্যয়কে প্রত্যাখ্যানের সামিল।
ডেমোক্রেট দলের সিনেটর বব মেন্দেজ বিষয়টিকে, নিষ্ঠুর ও অদূরদর্শী বলে মন্তব্য করেন। শরণার্থী সংকোচনের বিষয়টিকে তিনি বিশ্বব্যাপী অসংখ্য জীবন ও জাতির মূল্যবোধের ক্ষতি বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেবার কথা বলেছিলেন। শরণার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভিবাসী ইচ্ছুকদের আবেদনপত্র বাছাইয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ তারই প্রমাণ।
রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে জানা যায়, দুই বছর আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা কমেছে। অপরদিকে ইউরোপিয়ানদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি বেশ বেড়েছে।
সারাবাংলা/এনএইচ