Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ক্যান্সারের নকল ওষুধ বিক্রি করে শত কোটি টাকার মালিক


১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:১৫

উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

চীন থেকে ক্যান্সারের নকল ওষুধ এনে তা বিক্রি করে তিন বছরে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন প্রতারকচক্রের তিন সদস্য। এরা হলেন, মূল হোতা রুহুল আমিন ওরফে দুলাল হোসেন, সহযোগী নিখিল রাজ বংশী ও সাঈদ। শুক্রবার সকালে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে প্রতারক তিনজনকে গ্রেফতার করে ক্রিমিনাল অব ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি কর্মকর্তারা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। সোমবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মোল্লা নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুলাল চতুর ও অসাধু একজন ব্যবসায়ী। ১০ বছরের মতো ফার্মেসি ব্যবসাও করেছেন ‍দুলাল। কিন্তু গত তিন বছর হলো দুলাল জুয়ার আসরে টাকা পয়সা হারিয়ে নকল ‍ওষুধের ব্যবসায় নামেন। চীন থেকে নকল ওষুধ তৈরি করে এনে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করে সম্পদের পাহাড় গড়েন তিনি।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্যের ঘোষণা দিয়ে দুলাল এসব নকল ওষুধ আনছেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করছেন কাস্টমসের একটি অসাধু চক্র। ওই চক্রকেও ধরতে কাজ করছে সিআইডি। ওইসব নকল ওষুধ রোগ প্রতিরোধের পরিবর্তে আরো প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে।

ওই সূত্রটি জানায়, জুয়ার আসরে দুলালের সঙ্গে রাজবংশী ও সাঈদের পরিচয় হয়। সেখানেই পরিকল্পনা হয় চীন থেকে ক্যান্সারের নকল ওষুধ তৈরি করে এনে বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার। গত তিন বছরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, শত শত কোটি টাকা তারা লেনদেন করেছে।  গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার পাতা নকল ওষুধ ও ৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জব্দ করেছে সিআইডির কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

সিআইডির কর্মকর্তারা বলেন, ক্যান্সারের এসব নকল ওষুধ বিক্রি করে দুলাল হোসেন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিলাসবহুল বাংলো তৈরি করেছেন। ওই বাংলোতে সপ্তাহে একদিন বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে মদ ও জুয়ার আসর বসান। এক প্যাকেট ওষুধ চীন থেকে তৈরি করে আনতে খরচ পড়ে মাত্র ১২টাকা। আর এক প্যাকেট ওষুধ দেশের বাজারে বিক্রি হতো ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। আর রাতারাতি বনে যান কয়েকশ কোটি টাকার মালিক।

সিআইডির কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, দুলাল ছোট থেকেই জুয়ারি মনোভাব নিয়ে বড় হয় বলে পারিবারিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে। এমনকি স্কুলের গণ্ডিও পার হতে পারেনি। এরপরই সে পুরান ঢাকা এলাকায় ওষুধের ব্যবসা শুরু করেন। গ্রেফতার হওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় বিশেষ আইনে মামলা হয়েছে। আসামিরা আরো কয়েকজনের নাম জানিয়েছে। তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

নকল ওষুধ প্রতারকচক্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর