Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফের উত্তপ্ত চট্টগ্রাম কলেজ, ভাঙচুর-ককটেল বিস্ফোরণ


১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৪২ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৫৫

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটি নিয়ে দ্বিতীয় দিনেও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সড়ক অবরোধের পাশাপাশি এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বহিরাগতদের উপস্থিতিও দেখা গেছে সেই সংঘাতে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজের সামনের সড়কে এই সংঘাতের পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। কমিটিতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। মাহমুদুল প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এবং সবুজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী।

কমিটি প্রত্যাখান করে মঙ্গলবার প্রায় দুইঘণ্টা ধরে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।

এরপর বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মেয়রের অনুসারীরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। মেয়র অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রথমে ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ করেন। এসময় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে তারা রাস্তায় আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজের আশপাশের এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত তরুণ-যুবক এসে যোগ দেয়। তাদের কারও কারও কোমরে রামদা-কিরিচ দেখা গেছে। এসময় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভরত ছাত্ররা বেরিয়ে গণি বেকারির অভিমুখে মিছিল শুরু করে। বহিরাগতরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। একপর্যায়ে তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে।

বিজ্ঞাপন

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) নোবেল চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘মিছিল প্রথমে গণি বেকারির সামনে আসে। সেখান থেকে আবারও গুলজার মোড়ে যায়। সেখান থেকে আবারও গণি বেকারির সামনে আসলে এখানে ছাত্রদের দুইপক্ষ মুখোমুখি হয়। তখন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। একগ্রুপ সড়কে বসে বিক্ষোভের চেষ্টা করে। পরে আমরা ধাওয়া দিলে তারা কলেজের ভেতরে ঢুকে যায়। এসময় প্রায় ২০ মিনিটের মতো গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, একদিকে ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছিল। অন্যদিকে গাড়ি ভাঙচুর করছিলেন একদল যুবক। দোকানের সামনে দরজার কাচও ভাঙচুর করা হয়। এসময় পথচারি, স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে প্রাণভয়ে ছুটোছুটি শুরু করেন।

১৯৮৪ সালে সর্বশেষ চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল। ছাত্রশিবিরের সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হওয়া ছাত্রলীগের প্রায় তিন দশক ধরে ওই কলেজে কোন কর্মকাণ্ডই ছিল না। ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম কলেজ ও সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ ক্যাম্পাস দখলে নেয়। এরপর থেকে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলে আসছে।

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর