।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দীর্ঘ দিন থেকে পারটেক্স গ্রুপ ও হোটেল লা মেরিডিয়ান তাদের বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে- এমন অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ব্যবসা এবং অন্যের সম্পদ দখল করে অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন তারা। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে দুই প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারীকে সেগুন বাগিচা কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক মোশারফ হোসেইন মৃধা তাদের তলব করে আলাদা দু’টি নোটিশ পাঠান। পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এবং হোটেল লা মেরিডিয়ানের সত্ত্বাধিকারী আমিন আহম্মেদ ভূইঁয়াকে ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এম এ হাসেমের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে বিপুল সম্পদ আয় এবং বিপুল পরিমাণ সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে স্বল্প মূল্যে পণ্য আমদানি করে মূল্য বেশি দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি- এমন অভিযোগের সত্যতাও খতিয়ে দেখছে দুদক।
আমিন আহম্মেদ ভূইঁয়ার বিরুদ্ধে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন ব্যবসা ও সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকায় ৭শ’ একর খাস জমি জবর দখল করে রাখার অভিযোগও উঠেছে।
এর আগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম ও তার দুই ছেলেকে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে চিনি আমদানির নামে ১৫০ কোটির টাকার অনিয়মের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এটি