Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সড়কে নিভেছে ৪ হাজার ২৮৪ জনের জীবনপ্রদীপ


১ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:২৬

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : গেল বছর ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। ওই বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ২৮৪ জনের জীবনপ্রদীপ নিভেছে এবং ৯ হাজার ১১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫১৬ জন নারী এবং ৫৩৯ জন শিশু।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) বার্ষিক জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০১৭ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২২টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এনসিপিএসআরআর এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

জাতীয় কমিটির তথ্যমতে, ২০১৬ সালে ২,৯৯৮টি দুর্ঘটনায় ৪৭০ নারী ও ৪৫৩ শিশুসহ ৩,৪১২ জন নিহত এবং ৮,৫৭২ জন আহত হন। এর আগে ২০১৫ সালে ৪ হাজার ৫৯২টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬ হাজার ৮২৩ ও ১৪ হাজার ২৬ জন। নিহতের মধ্যে ৭৮১ নারী ও ৭৬২ শিশু ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি ৩৭২টি দুর্ঘটনায় ৫৬ নারী ও ৫৮ শিশুসহ মোট ৪৭২ জন নিহত এবং ১,০৯৪ জন আহত হন। একই বছর আ

গস্টে সর্বনিম্ন ২১৭টি দুর্ঘটনায় ২৫ নারী ও ৩১ শিশুসহ ২৭৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আর আহত হন ৫০৩ জন।

বছরব্যাপি পর্যবেক্ষণে দুর্ঘটনা বাড়ার জন্য ৯টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে জাতীয় কমিটি। সেগুলো হচ্ছে- বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি, স্থানীয়ভাবে তৈরি দেশীয় ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্রযানে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, বিধি লঙ্ঘন করে ওভারলোডিং ও ওভারটেকিং, জনবহুল এলাকাসহ দূরপাল্লার সড়কে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, দীর্ঘক্ষণ বিরামহীনভাবে গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও বেহাল সড়ক, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব এবং অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষগুলোর যথাযথ তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবই দায়ী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৩৫০টি দুর্ঘটনায় ৫৪ নারী ও ৫৫ শিশুসহ ৪১৬ জন নিহত ও ১,০১২ জন আহত হন। মার্চে ৩৩০টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৩৬২ জন, যার মধ্যে ৪৯ নারী ও ৫৪ শিশু রয়েছে। আর আহত হয়েছেন ৮৬৫ জন।

এপ্রিলে ৩২০টি দুর্ঘটনায় ৪৭ নারী ও ৪৮ শিশুসহ ৩৪৯ জন নিহত এবং ৮৬১ জন আহত হয়েছেন। মে মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৪৬টি, এতে ৫২ নারী ও ৫৮ শিশুসহ ৪১০ জন নিহত ও ১,০১৬ জন আহত হন।

জুনে ২৬৫টি দুর্ঘটনায় ৩৪ নারী ও ৪২ শিশুসহ ৩৩৩ জন নিহত ও ৬৩২ জন আহত হন। জুলাইয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১৯টি, এতে নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ২৭৯ ও ৫১৭ জন। নিহতদের মধ্যে ২৭ নারী ও ৩৫ শিশু রয়েছে।

সেপ্টেম্বরে ২৪৯টি দুর্ঘটনায় ৩৮ নারী ও ৩৯ শিশুসহ ৩৫৬ জন নিহত এবং ৬০৫ জন আহত হয়েছেন। অক্টোবরে ২৫৮টি দুর্ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত ও ৬৮১ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ৪১ নারী ও ৪৫ শিশু রয়েছে। নভেম্বরে ২৩৭টি দুর্ঘটনায় ৩৯ নারী ও ৪২ শিশুসহ ৩৪১ জন নিহত ও ৬০৯ জন আহত হয়েছেন। ডিসেম্বরে ৩১০টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩৫ ও ৭১৭। নিহতদের মধ্যে ৫৪ নারী ও ৩২ শিশু রয়েছে।

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

সড়ক দুর্ঘটনা সালতামামি ২০১৭

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর