ব্রিটিশ কাউন্সিল ও বিডিওএসএন’র উদ্যোগে প্রোগ্রামিং কর্মশালা
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বলা হয়, দক্ষ মানুষ অনেক ভাষায় কথা বলতে পারে। কিন্তু এই কমপিউটারের যুগে এসে শুধু মানুষের ভাষা জানাই যথেষ্ট নয়। জানতে হবে কমপিউটারের ভাষা, প্রোগ্রামিং এর ভাষা। এটা না জানা থাকলে আগামীতে চলাই দুষ্কর হয়ে যাবে। আর আগামী প্রজন্মকে প্রোগ্রামিং এর ভাষা শেখাতে দেশের ২৫টি জেলার পাবলিক লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামিং কর্মশালার আয়োজন করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ।
রাসবেরি পাই নির্ভর সাশ্রয়ী মূল্যের বিশেষ কম্পিউটার কানো ও মাইক্রোবিট ব্যবহার করে এই প্রোগ্রামিং শিক্ষা কার্যক্রমে একাডেমিক সহায়তা প্রদান করবে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই বিষয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু নিউটন এবং বিডিওএসএনের সহসভাপতি ড. লাফিফা জামাল।
লাইব্রেরি আনলিমিটেড প্রকল্পের মডেল লাইব্রেরি ও আইসিটি ম্যানেজার তামিম মোস্তফা বলেন, ‘এই ভাষা শেখানোর মধ্য দিয়ে দেশের পাবলিক লাইব্রেরি আরও আধুনিকায়ন করা হবে। যেন সবার জন্য তথ্য পাওয়া এবং জ্ঞান অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। আর এর অর্থায়ন করবে বিল-মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশন।’
এ প্রকল্পের আওতায় দেশে ৩০টি আদর্শ লাইব্রেরি ও একটি ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং আরও ৩৯টি লাইব্রেরিতে সেবার মান উন্নয়ন করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ২৫টি নির্বাচিত জেলায় পাবলিক লাইব্রেরিগুলোতে কানো কম্পিউটার দিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
কানো কম্পিউটার রাসবেরি পাই দিয়ে তৈরি ও লিনাক্স বেসড অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত একটি বিশেষ কম্পিউটার যেটিতে সহজে প্রোগ্রামিং শেখার জন্য বিভিন্ন ব্লক বেসড প্রোগ্রামিং অ্যপলিকেশন ও গেম তৈরি করা আছে। কানো কম্পিউটারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে মাইক্রোবিট নামক একটি খুদে প্রোগ্রামেবল কম্পিউটারের। ইতিমধ্যে সরকারের গণগ্রণ্থাগার অধিদপ্তরের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করছে তারা।
মাইক্রোবিট কম্পিউটারের মাধ্যমে নিজেরা প্রোগ্রামিং করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সেন্সরের ব্যবহার, একাধিক মাইক্রোবিটের মধ্যে যোগাযোগ ও আরও বিভিন্ন কাজ করতে পারবে। এই প্রকল্পে একাডেমিক ও ভলান্টিয়ার সাপোর্ট প্রদান করবে বিডিওএসএন।
বিডিওএসএনের কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক স্বেচ্ছাসেবক দল এই জেলাগুলোতে শিক্ষার্থীদের কানো কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং শিখতে পাবলিক লাইব্রেরিগুলোতে বিভিন্ন কর্মশালা পরিচালনা করবে ক্রমান্বয়ে। এছাড়া এ সংক্রান্ত ইংরেজি নির্দেশিকা বাংলাতে রূপান্তরের কাজে সহায়তা করবে।
এসময় তামিম মোস্তফা গত ৪ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত প্রথম পাইলট কর্মশালার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সেদিন প্রায় ১৬০ জন শিক্ষার্থী কর্মশালাতে অংশ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল হাকিম, গ্রামীণ ফোনের করপোরেট ব্যবসার উপ-পরিচালক নাসের ইউসুফ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্ররি আনলিমিটেডের টেকনিক্যাল লিড ড. টিমোথি গ্রিন, বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, সহ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরীসহ আরও অনেকে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা পাবলিক লাইব্রেরির কর্মশালার মাধ্যমে এ আয়োজন বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
সারাবাংলা/এমএ/এমও