Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নগরীতে তাজিয়া মিছিলে কারবালা স্মরণ


২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৪০

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১০ মহররম বা আশুরার দিনটি মুসিলম বিশ্বে শোকের দিন হিসেবে খ্যাত। ঐতিহাসিক ও ঘটনাবহুল এই দিনটি পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও পালন হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাজধানীতে দিবসটি পালন করা হয় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও নানা আনুষ্ঠানিকতায়। তার মধ্যে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল অন্যতম।

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) আশুরা উপলক্ষে সকাল ১০টার পর রাজধানীর হোসনি দালান থেকে প্রধান তাজিয়া মিছিলটি বের হয়। মিছিল সমন্বয়ের মূল দায়িত্ব পালন করে হোসনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি। মিছিলটি ইমামবাড়া বকশিবাজার হয়ে আজিমপুর, নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি লেকের ‘কারবালা’ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

বরাবরের মতো এবারের তাজিয়া মিছিল সাজানো হয়েছে কারবালার শোকের নানা প্রতিকৃতি দিয়ে। বিবি ফাতেমার স্মরণে মিছিলের শুরুতেই দু’টি কালো গম্বুজ বহন করা হচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা বহন করছেন বিভিন্ন নিশান। সেইসঙ্গে মাইকে গাওয়া হচ্ছে কারবলার বিষাদময় ঘটনা নিয়ে রচিত গান। আর তাতে গলা মিলিয়ে বুক চাপড়ে শোক-সমবেদনা প্রকাশ করছেন মিছিলে অংশগ্রহনকারী নানা স্তরের মানুষ।

তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবারের তাজিয়া মিছিলে ছুরি-কাঁচি কিংবা কোনো ধাতব পদার্থ বহন করা হচ্ছে না। সে কারণে কাউকে শরীর রক্তাক্ত করে মাতম করতে দেখা যায়নি।

মিছিলে দু’টি ঘোড়া রয়েছে যার মধ্যে একটিকে রং দিয়ে রক্তের রূপ দেওয়া হয়েছে। ইমাম হোসেন যখন কারবালায় যান তখন এক রকম থাকে, আবার যুদ্ধের শেষে রক্তাক্ত ঘোড়ার অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে প্রধান এ মিছিলে যোগ দেন অনেকে। মূল তাজিয়া মিছিলে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কালো কাপড় পরে হোসনি দালানে আসতে থাকেন মানুষজন। নিরাপত্তা বিবেচনায় মিছিলে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রত্যেককে পুলিশের তল্লাশি চৌকির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

মিছিল উপলক্ষে হোসনি দালানের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পোশকধারী র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

এদিকে, তাজিয়া মিছিল শুরুর পর মিছিলের সামনে ও পেছনে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মিছিলের অগ্রভাবে ডিবি পুলিশের বিশেষ বেষ্টনি দেখা গেছে।

এদিকে তাজিয়া মিছিল দেখতে রাস্তার দুই ধারে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ইয়াতিমখানা, আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড, নীলক্ষেতসহ সড়কের বিভিন্ন অংশে মিছিল আসার অনেক আগে থেকেই উৎসুক জনতার ভিড় ছিল।

রাজধানীর পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জের বিবিকা রওজা, পুরান পল্টন, মগবাজার, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প ও মিরপুর-১১ নম্বরে বিহারি ক্যাম্পগুলোয় আশুরা পালিত হয়েছে।

তাজিয়া মিছিলের তত্ত্বাবধায়ক জাভেদ মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, মিছিলকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটনের সব নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। তাজিয়া মিছিলে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।

সারাবাংলা/এমএস/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর