কামাল ও ফখরুলের ঐক্যের দিনে নেই যারা
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:৫৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বৃহত্তর বা জাতীয় ঐক্যের ডাক ছাপিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র নাগরিক সমাবেশটা ছিল মূলত বিএনপির সাথে ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীর একাট্টা হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সেই নাটকই মঞ্চায়ন হয়ে গেল।
বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছিল যে, জামায়াত ছাড়া সবাইকে বলা হয়েছে। কিন্তু একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী মাওলানা ইসহাকের দল খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদেরের উপস্থিতি সমাবেশের সেই চেহারা রাখেনি।
এতে ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও কলুসিত হয়েছে, এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এই আহমেদ আবদুল কাদের এক সময় ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের এক অংশের মহাসচিব নূর হোসেন কাসেমী।
এদিকে দেশের বর্ষিয়ান রাজনীতিক এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রমকে জাতীয় ঐক্য’র সভায় দেখা যায়নি। তার দলের কোনো প্রতিনিধিকেও পাঠানো হয়নি সভায়। একই পথ অনুসরণ করেছেন মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নাতি জেবেল রহমান গাণির বাংলাদেশ ন্যাপ।
এই সমাবেশে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের কল্যাণ পার্টিকেও দেখা যায়নি। সভায় যায়নি এমন দলের মধ্যে রয়েছে ন্যাশন্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টিও। যার নেতৃত্বে আছেন খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা। রহস্যময় কারণে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশকেও দেখা যায়নি সমাবেশে।
যুক্তফ্রন্টের উদ্যোক্তা মাহমুদুর রহমান মান্নার দল নাগরিক ঐক্যের তো নিবন্ধনই নেই।
অন্যদিকে খোদ বিএনপিতেও ড. কামাল হোসেন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর এমন জোট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলে জানাচ্ছে সূত্র। বিএনপির মধ্যেও উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতা। যেকোনো মুহূর্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামনে চলে আসতে পারে- এমন শঙ্কাও রয়েছে বলে জানান তারা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, “যতই কামাল হোসেন তারেক রহমানকে গালমন্দ করুক কিংবা জামায়াত বর্জনের কথা বলুক- বাস্তবতা তেমন নয়। এই জোটের মূল লক্ষ্য, দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় বসানো।”
ওই নেতা এও বলেন, বিএনপির সারাদেশের নেতারা মূলত নির্বাচন করতে চান কিন্তু এই ঐক্যের নামে জোট মূলত নির্বাচনমুখী নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার শক্তি। যারা এর নেতৃত্বে আছেন বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তাদের ইমেজ বেশ ভালো।
কর্নেল অলিসহ জোটের নেতারা এই ঐক্যে না যাওয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক আরও কিছু ঘটনা আগামী সপ্তাহ হতে শুরু হতে পারে। বিএনপির বড় অংশ ও কর্নেল অলি আবারো আলোচনায় চলে আসতে পারেন।
সারাবাংলা/এনআর/এজেড/এটি