Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেবে গেছে রেলসেতু, রংপুর-লালমনিরহাটের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ


২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৪

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বগুড়া: বগুড়ার সোনাতলায় রেলসেতুর একটি পিলার দেবে গেছে। এতে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রংপুর ও লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে রংপুর ও লালমনিরহাটগামী সব ট্রেনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। বগুড়া রেলওয়ে প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্তও সেতুটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, বগুড়া জেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সোনাতলা ও ভেলুরপাড়া রেল স্টেশনের মাঝামাঝি চকচকিয়া রেল সেতুটির একটি পিলার দেবে যায়। এ খবর পাওয়ার পর দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এই রুটে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা পর্যন্তও সেতু মেরামতের কাজ শুরু না হওয়ায় কোনো ট্রেন চলেনি এই রুটে। বিকেল ৫টার দিকেও দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি ট্রেন সোনাতলা স্টেশনে আটকে রাখা হয়েছে।

বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার বেঞ্জুরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে ওই সেতুর একটি পিলার দেবে যায়। বিষয়টি রেললাইন মেরামতকর্মীরা জানতে পেরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে সোনাতলা স্টেশন মাস্টারকে জানিয়ে দেন। পরে সোনাতলা স্টেশন মাস্টার আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। এর পরপরই ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বেঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ঢাকা-সান্তাহার-বগুড়া-রংপুর-লালমনিরহাট রুটে চব্বিশ ঘণ্টায় ১৬টি ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু চকচকিয়া সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেক্স এবং সান্তাহার থেকে লারমনিরহাটগামী বগুড়া এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো ছেড়ে আসার কথা রয়েছে। সেতুর মেরামত কাজ শেষ না হলে এই ট্রেনগুলোও আটকা পড়বে।

বিজ্ঞাপন

রেলওয়ে প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কখন মেরামত কাজ শেষ হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো কর্মকর্তা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

জানতে চাইলে বগুড়ায় রেলওয়ের প্রকৌশল শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী আসলাম হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পিলারের নিচে বালুর বস্তা ফেলা হবে। এজন্য বগুড়া স্টেশনে মালবাহী বগিতে বালুর বস্তা ভরা হচ্ছে। সান্তাহার থেকে ইঞ্জিন এলেই তা ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি মেরামত কাজ শেষ করা যাবে।’ যদিও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেতুর মেরামত কাজ শুরু করতে দেখা যায়নি।

সারাবাংলা/টিআর

বগুড়া রেলসেতু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর