অবরুদ্ধ আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ক্লাস বর্জনের ঘোষণা
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৩ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৫৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নয় দফা দাবি আদায়ে সোমবার থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষকরা এই ঘোষণা দেন।
এদিন রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা উপাচার্য আবদুল এম.এম. শফিউল্লাহকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। অবরুদ্ধ ছিলেন উপ-উপাচার্য কাজী শফিকুল আলম এবং সব বিভাগীয় প্রধান।
শিক্ষকরা জানান, তারা গত জুলাই মাস থেকে নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন চেয়ে আসছেন। এগুলো হলো, সম্প্রতি প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও চাকরির যোগ্যতা অবিলম্বে বাতিল; সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের নিয়ে অংশগ্রহণমূলক কমিটি গঠন করে চার স্তরের শিক্ষক পদ রেখে (প্রভষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক) নতুন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করে নিয়োগে চাকরির যোগ্যতা প্রণয়ন; বর্তমান বেতন ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সমঅনুপাতে বাড়ানো; বাৎসরিক মূল বেতনের ১০ শতাংশ বৃদ্ধি; সব শিক্ষকদের জন্য কারিগরি ভাতা; চাকরিতে যোগ দেওয়ার শুরু থেকেই গ্র্যাচুইটি চালু করা; মানসম্পন্ন গবেষণা কাজ ও প্রকাশনার জন্য বাড়তি প্রণোদনা; সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ অনুযায়ী এখনকার তুলনায় ক্রেডিট ঘণ্টা কমানো ও তা পদ অনুযায়ী বণ্টন করা (যেমন- অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের জন্য ৯ ক্রেডিট ঘণ্টা এবং সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের জন্য ১২ ক্রেডিট ঘণ্টা) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে (বেতন কমিটি, একাডেমিক কমিটি, নীতি নির্ধারণী কমিটি ইত্যাদি) প্রতিটি নিয়মিত অনুষদের সর্বস্তরের শিক্ষক প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা।
এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনায় বসেন উপাচার্য। বিকেলে শিক্ষকরা আলোচনায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এতে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
আর্কিটেকচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মুমিনুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা আমাদের ৯টি দাবি নিয়ে স্বাভাবিক আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টি কিংবা উপাচার্য কোনো উদ্যোগ নেননি। আমাদের বলা হয়েছিল, আজকে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলাচনা করবেন তিনি। আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত আমরা জানতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে কঠোর হতে হয়েছে আমাদের।
তিনি আরও বলেন, তবে তার সম্মানের কথা ভেবে আজকের জন্য আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে আগামীকাল (সোমবার) সকাল ১০টা থেকে ফের আন্দোলন চলবে। এতদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে এসেছি কিন্তু ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করিনি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাল থেকে সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এই প্রসঙ্গে উপাচার্য আবদুল এম.এম. শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষকদের দাবিগুলো আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। তবে তারা লিখিতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানায়নি। তারা দু’এক দিনের মধ্যে জানাবে।
সারাবাংলা/এসএইচ/এটি