Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কাল্পনিক’ মামলাকারীদের বিরুদ্ধে রিটের শুনানি আগামী সপ্তাহে


২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:১২

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ‘কাল্পনিক’ মামলা উল্লেখ করে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য আগামী সপ্তাহে তারিখ ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ রিটের শুনানি করতে গেলে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান জানান, আজ (সোমবার) এ রিট মামলার শুনানি করতে গেলে আদালত শুনানির জন্য আগামী সপ্তাহ তারিখ ঠি করে দেন। এছাড়া পৃথক একটি বেঞ্চে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আগাম জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার না করতেও মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের তিন আইনজীবী— বিএনপির ভাইস চেয়ার‌ম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লা মিয়া।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।

রিটকারী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করার উদ্দেশ্যে হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা।

তিনি বলেন, এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয়, তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।

এ রিটের শুনানিতে ড.কামাল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা অংশ নিতে পারেন বলেও জানান খন্দকার মাহবুব হোসেন।

চলতি মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, আবেদনকারী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এই ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছের রিট আবেদনে।

এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে এ ধরনের মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতে এবং এ ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রেখে সাত সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে।

সারাবাংরা/এজেডকে/জেএএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর