মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ২ কিশোরীকে গণধর্ষণ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:১০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চাকরি খুঁজতে যাওয়া দুই কিশোরীকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে আটজন মিলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার জলসা মার্কেটে এই ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মাকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
গ্রেফতার হওয়া ৬ জন হলেন- আব্দুল আউয়াল ডালিম (৩০), ফারুক (২৭), কবির (২৭), জাহাঙ্গীর আলম (২৪), বাবলু (২৮) ও সেলিম (৩৫)। এনাম (২৬) ও রুবেল (২৫) নামে আরও দুজন এখনও পলাতক আছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন ওসি মহসিন।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে জানান, ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী জলসা মার্কেটের এক দোকানে চাকরি করতেন। পরিচয়ের সুবাদে ওই মার্কেটের পঞ্চম তলার জয়ন্তী বোরকা হাউজের মালিক রাশেদ তার দোকানে দুজন নারী কর্মচারি লাগবে বলে তাকে জানান। ওই কিশোরী তার আরেক বান্ধবীকে নিয়ে রোববার দুপুরে সেখানে যান।
রাশেদের দোকানে বসে কথা বলে চলে যাবার সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডালিম ও সেলিম মিলে তাদের ডেকে মোবাইল চুরি করেছে কি না জানতে চায়। পরে অন্যান্যরা মিলে তাদের প্রথমে রাশেদের দোকানে ঢুকিয়ে মোবাইল চুরির বিষয়ে জেরা করে। এরপর শালিসের কথা বলে তাদের দুজনকে মার্কেটের নবম তলায় নিয়ে যায়। সেখানে আটজন মিলে তাদের ধর্ষণ করে।
ওসি মোহাম্মদ মহসিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাতে বাসায় না ফেরায় একজনের খালা তাদের খুঁজতে জলসা মার্কেটে যান। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মালিক সমিতিকে বিষয়টি জানালে তারা মার্কেটের নবম তলার ছাদে গিয়ে দুই কিশোরীকে মেঝেতে পড়ে কাতরাতে দেখেন। দ্রুত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ঘটনায় জড়িতরা সবাই জলসা মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী এবং হকার বলে জানান ওসি। তবে দোকান মালিক রাশেদ ঘটনায় জড়িত নয় বলে তিনি জানান। এই ঘটনায় এক কিশোরীর মা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ