আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ভেতন-ভাতা বাড়ানো, সপ্তাহে ৯ ঘণ্টা ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে শিক্ষকদের প্রতিনিধি রাখাসহ ৯ দফা দাবিতে পাঠদান বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষকরা।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, তারা গত জুলাই মাস থেকে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন চেয়ে আসছেন। এগুলো হলো— সম্প্রতি প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও চাকরির যোগ্যতা অবিলম্বে বাতিল; সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের নিয়ে অংশগ্রহণমূলক কমিটি গঠন করে চার স্তরের শিক্ষক পদ রেখে (প্রভষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক) নতুন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করে নিয়োগে চাকরির যোগ্যতা প্রণয়ন; বর্তমান বেতন ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সমঅনুপাতে বাড়ানো; বাৎসরিক মূল বেতনের ১০ শতাংশ বৃদ্ধি; সব শিক্ষকদের জন্য কারিগরি ভাতা; চাকরিতে যোগ দেওয়ার শুরু থেকেই গ্র্যাচুইটি চালু করা; মানসম্পন্ন গবেষণা কাজ ও প্রকাশনার জন্য বাড়তি প্রণোদনা; সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ অনুযায়ী এখনকার তুলনায় ক্রেডিট ঘণ্টা কমানো ও তা পদ অনুযায়ী বণ্টন করা (যেমন- অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের জন্য ৯ ক্রেডিট ঘণ্টা এবং সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের জন্য ১২ ক্রেডিট ঘণ্টা) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে (বেতন কমিটি, একাডেমিক কমিটি, নীতি নির্ধারণী কমিটি ইত্যাদি) প্রতিটি নিয়মিত অনুষদের সর্বস্তরের শিক্ষক প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মমিনুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দাবি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় আজ (সোমবার) থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাঠদানসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছি আমরা। শুনেছি, আজ ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে উপচার্যের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয়, সে অপেক্ষায় আছি আমরা।’ দাবি মানা না হলে তারা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এই ৯ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। সর্বশেষ গতকাল রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকেও দাবি আদায় না হওয়ায় তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল এম এম শফিউল্লাহকেও অবরুদ্ধ করে রাখেন। কিন্তু তাতেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।
সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর