সন্ধান মেলেনি ফাদারের, মুক্তিপণ চেয়ে ফোন
২৯ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:০৯
সারাবাংলা প্রতিবেদক
ফাদার ওয়াল্টার দুইদিনেও সন্ধান মেলেনি নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল সেন্ট লুইস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জোনাইল ধর্মপল্লির ‘সহকারী পাল-পুরোহিত’ ফাদার ওয়াল্টার উইলিয়াম রোজারিওর। তবে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বাড়ির এক সদস্যের মোবাইল ফোনে কল করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে, এটা দুর্বৃত্তদের এক ধরনের প্রতারণা হতে পারে। পুরোহিতকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।
বুধবার সকালে ফাদার ওয়াল্টারের ভাই প্রেমল রোজারিও ও বনপাড়া চার্চের প্রধান বিকাশ হিউবার্ট রিবারিওর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফাদার ওয়াল্টারের সন্ধান না পেয়ে তারা উৎকণ্ঠিত। গতকাল মধ্যরাতে প্রথমে ওয়াল্টারের ফোন থেকে তার বাড়ির ফোনে কল করে অপহরণের কথা বলে। পরে অন্য একটি ফোন থেকে কল করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা বনপাড়ার একটি বিলের ধারে অবস্থানরত এক ব্যক্তিকে দিতে বলা হয়। এই কথোপকথনের সময় পুলিশ কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে ছিলেন। তাৎক্ষণিক সাদাপোশাকে পুলিশ ওই স্থানে যায়। তবে কাউকে পায়নি পুলিশ। এরপর আর কেউ ফোন করেনি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই বলেন, নিখোঁজ ফাদারকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। পুলিশ সুপার স্বয়ং বনপাড়ায় অবস্থান করে সার্বিক তৎপরতা তদারকি করছেন। শিগগিরই তাঁকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে করা ফোনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছুকে গুরুত্ব দিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। তবে মুক্তিপণ–সংক্রান্ত ফোনের ব্যাপারটা আমাদের কাছে প্রতারণা মনে হয়েছে।’
গত সোমবার বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া মিশন মার্কেট থেকে জোনাইল ধর্মপল্লিতে যাওয়ার পথে ফাদার ওয়াল্টার উইলিয়াম রোজারিও নিখোঁজ হন।
সারাবাংলা/আরসি/ নভেম্বর ২৯,২০১৭