‘তারা কি শুধু জামিনের জন্যই আসেন?’খালেদার আইনজীবীকে আদালত
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৪৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘ তারা শুধু কি জামিনের জন্যই আসেন। বেল পিটিশন মঞ্জুরের পরেই উনি চলে গেলেন। কোর্টের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি থাকতে পারতেন।’ খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টম্বর) পুরানো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ অাদালতের বিচারক ড. অাখতারুজ্জামান খালোদা জিয়ার জামিন বাড়ার আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেওয়ার পরে এমন উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক।
এর আগে খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ার আবেদনের ওপর শুনানি ও আদেশের পর ২০ মিনিটের বিরতিতে যান আদালত। বিরতির পর আবারও তিনি আসেন। কিন্তু এসময় আদালতে ছিলেন না খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এদিন অাসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলামের অনাস্থার অাবেদনের ওপর দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শোনেন আদালত। এ বিষয়ে অাদেশ বুধবার দিন ঠিক করেন বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত শুনানি না করার আবেদনের বিষয়েও আগামীকাল আদেশের দিন ঠিক করা হয়।
দুই পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গতকাল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিন বেলা ১১টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু করেন আইনজীবীরা। একপর্যায়ে জিয়াউল ইসলামের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আদালতের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে মামলাটি বদলির আবেদন করেন।
আদালত শুনানি শেষে মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন বাতিল করে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন। আনস্থার বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী, তার এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি। মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমএইচ/জেডএফ