সরকারি চাকরির সব স্তরেই কোটার দাবি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:২৪
।। রাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
রাবি: প্রথম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সুপারিশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় তারা চাকরির সব স্তরেই কোটা রাখার দাবি জানান।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি তারিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ধীরাজ চন্দ্র রায় মানবন্ধন সঞ্চালনা করেন।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান অমর শুভ বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমার আস্থাশীল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা না রেখে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে কোটা রাখা হয়েছে। আমরা কি কেরানী- পিয়ন পদে চাকরি করব। যদি কোটা রাখতে হয় সবক্ষেত্রেই সুষমভাবে কোটা বহাল রাখতে হবে।’
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক সাফকাত মন্জুর বিপ্লব বলেন, ‘বর্তমান সরকার নেতৃত্বে যখন দেশ উন্নয়নশীল দেশে পর্দাপন করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে কিছু লোক সরকারকে উসকানি দিচ্ছে কোটা বাতিলের জন্য।’
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু কোটা প্রথা চালু করেছিলো কিন্তু ৭৫ পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা সঠিক প্রয়োগ হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা ছেলে-মেয়েরা চাকরি পায়নি। সে সময় যদি কোটা সঠিক প্রয়োগ হত তাহলে আজ আমাদের রাস্তায় নামতে হতো না।’
সভাপতি তারিকুল ইসলাম মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কোটা না রাখার সুপারিশের প্রতিবাদে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবির মধ্যে আছে- মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কোটা বাতিলের সুপারিশ বাতিল, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য সুনিশ্চিত চাকুরির ব্যবস্থা, রাজাকারদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজাকার সন্তানদের চাকুরিচ্যুত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির ব্যবস্থা, সামাজিক মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার বিচার করা।
দাবি না মানা হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলন নামার হুঁশিয়ারি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সদস্য মো.উমর ফারুক, মনির হোসেন, নয়ন হোসেন, সাব্বির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/এমও