Tuesday 10 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১১ বছরে সোয়া কোটি লাখ সবজি বাগান, কমবে ভিটামিন ও জিংকের ঘাটতি


২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৩০

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: নতুন এক প্রকল্পে আগামী ১১ বছরে দেশে তৈরি হবে ১ কোটি ২৩ লাখ সবজি বাগান। প্রকল্পের আওতায় বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষের প্রশিক্ষণ পাবে ১৬ লাখ নারী। কার্যক্রমের অন্য একটি অংশ হিসেবে ৩২ লাখ পুকুর মালিককে দেয়া হবে মলা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ। ঘরে খাবার সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়েও তৈরি হবে সচেতনতা। আর এসব কার্যক্রমের সার্বিক ফলাফলে সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী এক দশকে উল্লেখযোগ্য হারে কমবে ভিটামিন এ, আয়রন ও জিংকের ঘাটতি।

বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘দ্বিতীয় জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা (সিআইপি-২): পুষ্টিবান্ধব খাদ্যব্যবস্থা’ শীর্ষক কর্মসূচির সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তায় ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগ এই সমীক্ষাটি পরিচালনা করে। সরকারি এ প্রকল্প বাস্তবায়নেও সহযোগিতা করবে ব্র্যাক।

ব্র্যাকের খাদ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির পরিচালক ডা. কাওছার আফসানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র পলিসি এনালিস্ট বেনিয়িস্ট ভেলিরেত্তি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধান ইউনিটের মহাপরিচালক এম বদরুল আরেফিন, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. শাহ নেওয়াজ।

বক্তারা বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি মান নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে পুষ্টির পাশাপাশি খরচ ব্যবস্থাপনায়ও নজর দিতে হবে। পুষ্টিবান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

বক্তারা আরও বলেন, সরকার পুষ্টিকে গুরুত্ব দিয়ে তার কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছে। এবং তা বাস্তবায়ন ও প্রচারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। বর্তমানে গবাদি পশু, মৎস্য ও সবজি চাষে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ পুষ্টি কাউন্সিল এসব খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান বজায় রাখার উপরও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় পরিকল্পনার ৫ কার্যক্রম হচ্ছে পুষ্টিবান্ধব কৃষির উন্নয়ন ও প্রসার; পুষ্টিকর ছোট মাছ চাষের প্রসার ও মৎস্যবৈচিত্র্য সংরক্ষণ; পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে রান্না, খাবার সংরক্ষণ এবং ঘরে খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে সচেতনতার প্রসার; নারী-শিশু-বৃদ্ধ-প্রতিবন্ধী, দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীসহ সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নিশ্চিতকরণ এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বিশেষত মা ও শিশুর জন্য পুষ্টিবান্ধব কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্তি।

প্রথম বিশ্লেষণে বলা হয়, প্রকল্পটির আওতায় ১৬ লাখ নারীকে বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এতে আগামী ১১ বছরে দেশে নতুন করে নির্মাণ হবে ১ কোটি ২৩ লাখ সবজিবাগান। ফলে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তা গ্রহণে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ আয়রন, ৮ শতাংশ জিংক এবং ভিটামিন এর ঘাটতি থাকবে না। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তারা এসব বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারবেন। ব্র্যাকের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ডলার বিনিয়োগে এতে সার্বিক লাভ হবে আড়াই ডলারেরও বেশি।

ছোট মাছ চাষের প্রকল্পে মলা মাছকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ পুকুর মালিককে মলা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। দেশে মাছটির উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিকভাবে ১৫ শতাংশ আয়রন, জিংক ২৫ শতাংশ এবং ভিটামিনের কোনো ঘাটতি থাকবে না। প্রকল্পে প্রতি ডলার বিনিয়োগে ৪ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের লাভ পাওয়া যাবে।

আরেক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, মা ও শিশুর পুষ্টিচাহিদার প্রতি খেয়াল রেখে বাসায় পুষ্টিকর খাবার রান্না, নিরাপদ সংরক্ষণ এবং সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণে নিবিড় প্রশিক্ষণ জরুরি। এর ফলে পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কম ওজনের শিশু জন্মহার কমে যাবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চবিতে অনলাইনে চলবে ক্লাস
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:০৩

ডেঙ্গু : চট্টগ্রামে প্রাণ গেল ২ নারীর
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:০০

রাফির নায়িকা তানজিন তিশা
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৯

সম্পর্কিত খবর