কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন অং সান সু চি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৫
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক নাগরিকত্ব ফিরিয়ে নিতে ভোট দিয়েছেন কানাডার পার্লামেন্ট সদস্যরা। বৃহস্পতিবার(২৭ সেপ্টেম্বর) এমপিরা এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন।
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পার্লামেন্ট সদস্যদের এমন সিদ্ধান্তের মাত্র একদিন আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা করেছিলেন, পার্লামেন্ট সু চির সম্মানজনক নাগরিকত্বের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করবে। যদিও এ পদক্ষেপ রোহিঙ্গাদের সীমাহীন দুঃখ লাঘবে তেমন কোন উপকারে আসবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণকে পুরস্কার উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কানাডার পার্লামেন্টের দুই কক্ষ সম্মতির মাধ্যমে কাউকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়। নাগরিকত্ব বাতিল করতেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। চলতি মাসের প্রথম দিকে দেশটির হাউজ অব কমন্স রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দেয়।
গত মাসে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ স্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের দোষারোপ করা হয়। একই সাথে ভৎসনা করা হয় ক্ষমতায় থাকা মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির। বলা হয় তিনি সেনা সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২০০৭ সালে সু চিকে কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। মাত্র ছয় জন সৌভাগ্যবানের একজন ছিলেন সু চি।
এর আগে সু চির অক্সফোর্ড, গ্লাসগো, এডিনবরা এবং নিউক্যাসলের ফ্রিডম অব সিটি পুরস্কারও বাতিল হয়েছে। তবে সু চির নোবেল পদক কেড়ে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। মিয়ানমারে সেনা শাসনের সময়ে গণতন্ত্রেরে জন্য লড়াইয়ের স্বীকৃতি স্বরুপ সুচিকে ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/এনএইচ