আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:২৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: এলাকাটাই পুরোনো, পুরোনো নোনা ধরা নিচু নিচু বিল্ডিং, তার ফাঁকে ফাঁকে খোলা জায়গা আর গাছের ছায়া। তারই মধ্যে অনেকগুলো এলোমেলো ঘর নিয়ে একটি বড় জায়গা, ‘আজিমপুর লেডিস ক্লাব’।
নামে লেডিস ক্লাব হলেও এখানে শিশু কিশোরদের আনাগোনাই বেশি। এরা এখানে সপ্তাহান্তে গান, নাচ, ছবি আঁকা আবৃত্তি ইত্যাদি শিখতে আসে।
আজকে খুব বিশেষ উপলক্ষ্য, বাচ্চারা এসেছে একজনের জন্মদিন উদযাপন করতে। ক্লাসরুম ভর্তি বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করা হলো, কার জন্মদিনে এসেছো তোমরা, নানান বয়সী ছেলে-মেয়ে নানান ক্লাসে পড়ে, কিন্তু তারা ঐক্যতানে জবাব দিলো, আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন।
প্রশ্ন করা হলো, বলো তো আমাদের প্রধানমন্ত্রী কে? ছোটখাটো একজন চিৎকার করে উঠলো শেখ হাসিনা। গোলপানা টুকটুকে একজন জবাব দিলো, আমাদের নেত্রী…।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন তারা পালন করছে অন্য এক উপায়ে। সবাই যার যার কাগজ, রঙ, তুলি, ক্রেয়ন নিয়ে এসে পড়েছে ছবি আঁকবে বলে। যাদের বয়স ৬ এর নিচে তারা যা খুশি তাই আঁকছে। কেউ আঁকছে বলাকা, কেউ ফুল, কেউ গাছ কেউ অনেক অনেক নৌকা।
একটু বড়দের আঁকতে দেওয়া হয়েছে সোনার বাংলাদেশ। তাদের কাছে সোনার বাংলাদেশ মানে যে কত কী! কেউ পদ্মা সেতু আঁকছে কেউ মেট্রোরেল। ওরা জানেও না, মেট্রোরেল কু ঝিক ঝিক করে চলা ট্রেনের মতো না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রেল দেবেন। মানে রেল ওদের। এখন সেটা দেখতে যেমনই হোক।
সবচেয়ে বড় দলটিকে আঁকতে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন বিষয়ে। আজ যে মানুষটির ৭২তম জন্মদিন, তার শৈশবের জন্মদিন অবশ্যই আজকের শিশুর জন্মদিনের মতো হয়নি। তখন হয়তো অমন থিম বেঁধে কেক কাটা হতো না, বেলুন হতো না, কিন্তু তাতে কী? কে বলেছে হতো না? ওরা ওদের নিজেদের শৈশবের সাথে মিলিয়ে নিজেদের কল্পনার জগতে তেমন জন্মদিন উদযাপন করেই ফেলেছে আর তার ছবি উঠে এসেছে তুলির আঁচড়ে।
খুব উল্লেখযোগ্য একটা ছবি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজেদের ছবি। অনেক শিশু এমন পাওয়া গেল, যারা নিজেদের প্রাধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এ তাদের স্বপ্নের জগত, সেখানে পায়রা আছে, বাগান আছে, চাঁদ আছে আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সে আছে। প্রশ্ন করতেই জবাব তৈরি, প্রধানমন্ত্রী তো বাচ্চাদের খুব ভালোবাসেন। বাচ্চারা উনার সঙ্গে দেখা করতে যায়, আমিও একদিন যাব- যেন বন্ধুর বাড়ি যাবে সে।
ছোটদের মধ্যে একটু বড় মিরাজ। সে ক্লাস টেন এ পড়ে। তার কাছে শুধু প্রাধানমন্ত্রীকেই ভালো লাগে না- প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ভালো লাগে, দেশ চালানো ভালো লাগে, এমনকি তিনি যে ছোটদের কথা মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করেন- তাও ভালো লাগে।
শিশুদের এই ছবি আঁকা চলে দুপুর পর্যন্ত। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিবেচনায় পুরস্কারও দেওয়া হয় কয়েকজনকে। কিন্তু জয়ের আনন্দ সবার মনে। আজকে তারা তাদের প্রিয় একটি মানুষের জন্মদিন উদযাপন করেছে। আজকে তারা তাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন করেছে।
সারাবাংলা/এমএ/একে/এটি