Friday 11 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপি নেতা সাদাত আইএসআই এজেন্ট!


২ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:২৭ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:৩৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০১৫ সালের একটি নাশকতার মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়ার পর বিএনপি নেতা সৈয়দ সাদাত আহমেদকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টলিজেন্স) ঘনিষ্ঠ বলে জানাচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

চার মাস ধরে নিখোঁজ থাকার পর গত ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। দায়িত্বশীল গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানাচ্ছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাটির সাথে সাদাত আহমেদের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে।

সূত্রগুলো বলছে, পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের ব্যাচমেট কর্নেল (অব.) সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদের ছেলে এই সাদাত মূলত পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সক্রিয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।

বিজ্ঞাপন

সাদাত নিজে বাংলাদেশে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য।

গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে, ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছিলেন সাদাত আহমেদ।গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে সাদাতের কিছু গোপন বৈঠক এবং পাকিস্তানের হাইকমিশনের প্রথম সচিবের সাক্ষাৎকারের ছবির কথা উল্লেখ রয়েছে।

সাদাতের বাংলাদেশ এবং বিদেশে কর্মরত কিছু পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল, যারা প্রকৃতপক্ষে আইএসআই সদস্য।

পারভেজ মোশাররফের ব্যাচমেট শাহাবুদ্দিন এমনই একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি মুক্তিযুদ্ধের পরেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। পাকিস্তানের হেভিওয়েট প্রাক্তন সেনা প্রধান ও অন্যান্য পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ককে ব্যবহার করে তিনি ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন।

কেবল সাদাত ও তার বাবাই নন সাদাতের স্ত্রী লুনারও রয়েছে আইএসআই কানেকশন, বলছে গোয়েন্দা সূত্র।

এই তিন জনই আইএসআই কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলেছেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী লুনা- ভাবি ডিজাইনার বুকে নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক। একই সঙ্গে তিনি রাজধানীর একটি স্কুলের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করেও লুনাকে কিংবা তার শ্বশুরকে টেলিফোনে পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/ইউজে/এমএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর