জনগণ নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন রুখে দেবে: বি চৌধুরী
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:১৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন রুখে দেওয়ার জন্য যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দলের কুড়িল বিশ্বরোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের বিকল্পধারায় যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
বি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন চাই। ২০১৪ সালে দেশের মানুষ ভোটাধিকার বঞ্চিত হয়েছে। সংসদের অধিকাংশ আসনে বিনাভোটে সরকারি দলের সদস্যরা “নির্বাচিত” হয়েছে। ভোটে অনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা মন্ত্রী হয়েছেন, সংবিধান সংশোধন করেছেন এবং অনেকে ব্যাপক দুর্নীতির অংশীদার হয়েছেন। খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের আগে বিরোধী দলের এজেন্ট, কর্মী ও নেতাদের গ্রেফতার করে সরকারি দল বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই ধরনের নির্বাচন আবার যদি জাতীয় সংসদে হয় তা হলে গণতন্ত্র চির নির্বাসিত হবে। দেশবাসী আর ছিনিয়ে নেওয়া নির্বাচন হতে দিবে না। নির্বাচন চায় না। তাই যুক্তফ্রন্ট দেশবাসীর কাছে আহ্বান রাখছে এ ধরনের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন রুখে দিতে হবে। আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন চাই। সংসদ, ও মন্ত্রিসভা ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে। নির্বাচনের আগে সব রাজবন্দীকে মুক্তি দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।’
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র উভয়ই থাকতে হবে। একটা গাছের জন্য যেমন আলো তেমনি পানিও প্রয়োজন। শুধু প্রচুর আলোর মধ্যে একটি গাছ থাকলে তাতে যদি যথেষ্ট পানি না দেওয়া হয় অথবা বৃষ্টি না থাকে, তা হলে গাছ মরে যায়। অন্যদিকে প্রচুর পানি দিলেও গাছটি যদি অন্ধকারে রাখা হয় তা হলে গাছটি বাঁচবে না। রাষ্ট্র নামক বৃক্ষটিও তাই। উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তাকে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য, কথা বলার জন্য, মতামত প্রকাশ করার জন্য ভোটের অধিকার প্রয়োজন, এর নামই গণতন্ত্র। কাজেই সুখী রাষ্ট্র গঠনের জন্য গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন দুটিই দরকার। শুধু উন্নয়নে মন ভরবে না, শুধু গণতন্ত্রে পেট ভরবে না। দুটোই প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘দেশে উন্নয়ন হয়েছে, প্রবৃদ্ধি বেড়েছে সন্দেহ নাই, কিন্তু শুধুমাত্র কয়েক হাজার রাতারাতি হও্য়া কোটিপতি এই প্রবৃদ্ধির সিংহভাগ খেয়ে ফেলেছে। সরকারের হিসাবে দেশে এখনো দারিদ্রের হার ২২ ভাগের নিচে। তিনি প্রশ্ন করেন, কোথায় প্রবৃদ্ধির সুফল।’
এর আগে বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশনের লেডি ক্যাপ্টেন মাহমুদা চৌধুরী, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আম্বিয়া খাতুন শীলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপ ড. মো. নূর উদ্দিন, চিকিৎিসক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্নদলের শতাধিক নেতাকর্মী বি. চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিকল্পধারায় যোগদান করেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে