বৃদ্ধা মাকে বাঁশবাগানে ফেলে গেল সন্তানরা, আটক ৩
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:০৫ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:২২
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কচুয়াবাড়ি গ্রামে ৫ সন্তানের জননী হুজলী বেগমকে (৮৬) অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার সন্তানদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভরণপোষণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বৃদ্ধাকে বাড়ির পাশে বাঁশবাগানের নিচে রাস্তায় ফেলে রেখে আসে তার ছেলেমেয়েরা।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতের এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ওই বৃদ্ধার মেয়ে ও দুই ছেলেকে আটক করে পুলিশ।
কচুয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বৃদ্ধার স্বামী ৩০ বছর আগে মারা যান। অনেক কষ্ট করে হুজলী বেগম পাঁচ সন্তানকে মানুষ করেছেন। বয়সের ভারে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তিনি। এখন আর তিনি কোন কাজ করতে পারেন না। ছেলে মেয়েদের বোঝা হয়ে গেছেন তিনি। তিন ছেলের আলাদা আলাদা সংসার থাকলেও কোন সন্তানই তার দায়িত্ব নিতে চান না। তাই রাতের আঁধারে রাস্তার পাশের একটি বাঁশ বাগানে প্লাস্টিকের বস্তা বিছিয়ে রেখে যায় সন্তানরা। পরে প্রতিবেশীরা হুজলী বেগমকে তার বড় ছেলে ডাকু শেখের বারান্দায় রেখে যান।
এ দিকে ঘটনার পর হুজলী বেগমকে দেখতে যান লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু। বৃদ্ধাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, বৃদ্ধা মায়ের নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার পর তার মেয়ে কুলসুম বেগম (৫৮), ছেলে ডাকু শেখ (৬১) ও রাবু শেখকে (৪১) আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সারাবাংলা/এমএইচ/জেডএফ