যা দেখবেন তাই লিখবেন, গণমাধ্যমকে সেতুমন্ত্রী
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৫১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ১৪ দলের কর্মী সমাবেশকে গণমাধ্যমে সমাবেশ হিসেবে উল্লেখ করায় বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের মালিক-সম্পাদকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার অনুরোধ— যা দেখবেন, যা শুনবেন তাই লিখবেন। কেন বলছি? গতকাল ১৪ দলের সমন্বয়ক আমাকে বলেছেন, তারা কর্মী সমাবেশ করছেন। কিন্তু আপনারা একে সমাবেশ বলছেন। কেন? সমাবেশ বানিয়ে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি তো আমরা করব না। পাল্টাপাল্টি করলে কি আমরা নাট্যমঞ্চে করব? এটা সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে কর্মী সমাবেশ। এসব বিষয় বিভ্রান্তি তৈরি করে।’
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সরকারের এই সেতুমন্ত্রী বলেন, রাস্তা অবরোধ করে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ করে দেওয়ার কথাও বলেছেন। সেখানে যার যা খুশি বলতে পারবেন, দরকার হলে আমরা মাইকও ফিট করে দেবো। কিন্ত রাস্তায় চেঁচামেচি করতে দেবো না। আমরাও করব না, আপনাদেরও দেবো না।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন টিভিতে টক শো চলছে। বিষয়— সভা-সমাবেশের অনুমতি লাগবে কেন? উপস্থাপকও বলছে অনুমতি। কিন্তু এ সাবজেক্টটাই বা কেন? পুলিশের অনুমতি শুধু বিরোধী দল নয়, সরকারি দলকেও নিতে হয়। আমরা ক্ষমতাসীন দলও অনুমতি নিই। এটাই নিয়ম।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমার এক বন্ধু, একসময় ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। উনি এখন বিএনপির থিংক ট্যাংকের সঙ্গে জড়িত । গত পরশুদিন এক টকশোতে তার বক্তব্য শুনে আমি অবাক। তিনি বলেছিলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যে কথা বলেছেন তাতে আমরা ভয় পাচ্ছি। কারণ আমি নাকি বলেছি, দেশে অশনি সংকেত শুনতে পাচ্ছি। আমি বলেছি, দেশে অশুভ শক্তির তৎপরতা চলছে। তিনি কেন অর্ধসত্য বলে আমার অশুভ শক্তির জায়গায় অশনি সংকেত ব্যবহার করে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তি করেছেন? এটাই যদি বিএনপির রাজনীতি হয়, আমার কিছু বলার নাই। এটা মিথ্যাচার, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আমার ভিডিও আছে। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে টেলিভিশনের নিউজ এডিটরকে আমার জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে মেসেজটি দিয়েছি। এসব কিন্তু চলছে, প্রাসঙ্গিক বিষয়কে বাদ দিয়ে এ ধরনের আলোচনা চলছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতিসংঘ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল জাতিসংঘের নিচের সারির কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এসে বলেছিলেন, জাতিসংঘ নাকি তাদের পক্ষে দাঁড়াবে। গতকাল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে আজ যে পরিস্থিতি বিরাজমান এ জন্য শেখ হাসিনার সরকার ও জনগণের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করবেন। এটা আমরা বিএনপির মতো বানিয়ে বলছি না, দেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ আছে।
এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সবার মন খারাপ। কারণ বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আমরা ক্রিকেটে হেরে গেলাম। কিন্তু আমরা হারিনি, আমরা হারব না। বাংলাদেশের টাইগাররা চোট খেয়েছে। কিন্তু এশিয়া কাপের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কয়েকবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে লড়াই করেছে। শেষ বল পর্যন্ত ঘাম ঝরানো বিজয় ভারতকে দেখতে হয়েছে।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/টিআর